সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দক্ষিণ গোটারগ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে এবাদুর রহমানকে গলাকাটা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। রোববার (২১শে মার্চ) রাত আনুমানিক ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় দক্ষিণ গোটারগ্রামের একটি রাস্তার পাশে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অনাকাঙ্খিত ও মর্মান্তিক এ ঘটনায় পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেও ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে তা কেউ-ই বলতে পারছেন না। তবে মোবাইলের কললিস্টের সূত্রধরে পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে পারবে বলে ধারণা সচেতন মহলের।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত আনুমানিক ৭টার দিকে এবাদুর রহমান নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। ঘন্টাখানেক পর আনুমানক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন যে, এবাদুর রহমান গলাকাটা অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে পড়ে আছেন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এবাদুর রহমানের গলার ডান পাশে মারাত্মক রক্তাক্ত কাটা জখম ও গলার বাম পাশে কিছুটা হালকা কাটা জখম রয়েছে। তবে শরীরের তেমন কোন রক্তের চিহ্ন নেই।
অপরদিকে সরেজমিনে গিয়েও উদ্ধারস্থল সহ আশপাশে কোথাও রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এনিয়ে উপস্থিত লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুনা যায়। তবে সচেতন এলাকাবাসী ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন।
এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কাসেম ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুশংকর পাল সহ একদল পুলিশ। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্কর ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কফিলুজ্জামান কফিল সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !