স্টাফ রিপোর্টার
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারের প্রায় সব দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছুটি ভোগ করলেও ছুটি কাটানোর ফুসরত পাচ্ছেননা জকিগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। যোগাযোগ ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিবহণ সংকট থাকলেও সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনেও জনগণের সেবা দিতে প্রতিদিন দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিলেট থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে জকিগঞ্জে এসে অফিস করছেন তিনি। পহেলা বৈশাখের দিনে ফোন দিয়ে সেবা প্রত্যাশিদের অফিসে নিয়ে সেবা দিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারের প্রায় সব দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছুটি ভোগ করলেও ছুটি কাটানোর ফুসরত পাচ্ছেননা জকিগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। যোগাযোগ ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিবহণ সংকট থাকলেও সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনেও জনগণের সেবা দিতে প্রতিদিন দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিলেট থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে জকিগঞ্জে এসে অফিস করছেন তিনি। পহেলা বৈশাখের দিনে ফোন দিয়ে সেবা প্রত্যাশিদের অফিসে নিয়ে সেবা দিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) সরকারি ছুটির দিন দুপুরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কামাল হোসেন নিজে অফিসে উপস্থিত থেকে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে সেবা গ্রহিতাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ অন্য কোনো সরকারি দপ্তরে সচরাচর তেমনটি দেখা যায়নি। কিন্তু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী খোলার দিনের মতোই নিজ নিজ টেবিলে কাজে মগ্ন। নিরলসভাবে হাসিমুখে সেবা প্রার্থীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তৃণমূলে সেবা দিয়ে প্রশংসিত হচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। অনেকেই তাকে একজন মানবিক অফিসার আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি দেশের এক কঠিন সময়ে অফিস খোলা রাখায় আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, সপ্তাহে ছয় দিন ৮ ঘণ্টা অফিস। বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীররটাকে কোনো মতে বিছানায় ছেড়ে দিলেই দিন শেষ। পরের দিন আবার সেই অফিস। বছরের পর বছর প্রতিদিনের এই রুটিন শুধু আমাদেরই ক্লান্ত করে না, অতিষ্ঠও করে। তবুও নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব হাসি মূখে আঞ্জাম দিতেই হয়। বর্তমান সরকার ঘোষিত এই সাধারণ ছুটির দিনে অফিসে না আসলেও পারতাম। কিন্তু মানুষের সুবিধা অসুবিধার দিক বিবেচনা করে আমাকে অফিসে আসতে হচ্ছে। বিশেষ করে পেনশনারদের দিক বিবেচনা করে নিজে বাসায় থাকা উচিত মনে হয়নি। তাই কষ্ট হলেও অফিসে চলে আসি। কেননা মানুষের সেবা প্রদান আমাদের ধর্ম। তাই কাউকে কষ্ট দিতে চাইনা বলেই ছুটির দিনে আমার অফিসে আসা। এছাড়া বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ কর্মে আটকে থাকা ও আর্থিকভাবে সংকটে থাকা পেনশনারদের সেবা দেয়ার জন্য আমাকে অফিসে আসতে হয়।
Thanks a lot
উত্তর দিনমুছুন