স্টাফ রিপোর্টার
রোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মো. সাবিল আহমদ (৪৮) নামে একজনকে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার (১২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এর তত্ত্বাবধানে ও ওসি মীর মো. আব্দুন নাসেরের নেতৃত্বে জকিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার ২নং বিরশ্রী ইউনিয়নের লাফনাকোনা গ্রামের মদিনানগর জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে আটক করে। আটক ব্যাক্তি পূর্ব লাফনাকোনা গ্রামের ছকিন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসের বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যখন বাঁচা মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি। ঠিক এমনি সময়ে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। ওরা ভাবছিল পুলিশ করোনা ভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত। আর এ সুযোগে তারা সহজেই মাদক পাচার করবে! বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটে গেছে। অপরাধীদের মনে রাখা উচিত, পুলিশ যাই নিয়ে ব্যস্ত থাকুকনা কেন। অপরাধ ও আপরাধীর দিকে সর্বদা পুলিশের চোঁখ থাকে। তাই সবাইকে সাবধান হওয়ার আহবান করছি।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন-
ওরা আর কবে মানুষ হবে! চারদিকে যখন চলছে করোনা তান্ডব তখনও মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে চালাতে চাচ্ছে মাদক ব্যবসা! ভাবছে করোনাক্রান্ত সময়ে পুলিশ কে ফাঁকি দিয়ে তারা পার পেয়ে যাবে; সুযোগে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাবে!
সে আশায় গুড়েবালি! পুলিশ বসে নেই। সব দিকে নজর রেখেই আমরা আমাদের কাজটুকু করে যাচ্ছি।
মাননীয় পুলিশ সুপার, সিলেট মহোদয়ের নির্দেশে করোনা সচেতনতার পাশাপাশি আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মাদক দ্রব্যের বিস্তার রোধে। কাজেই কেউ যদি ভেবে থাকে সময়ের সুযোগ নিবে; সেটা ভুল! মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর এবং জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।
মাদক ব্যবসায়ী সে যেই হোক, কোন ছাড় নেই। আমাদের নজর সর্বক্ষেত্রেই আছে। তালিকাও প্রস্তুত।অভিযান অব্যাহত।
দেশের এই পরিস্থিতিতেও যে সব অসাধু ব্যাক্তি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের পায়তারা করছে তারা আর যাই হোক, মানুষ নয়!
কখনও মানুষ হবে কিনা সে বিষয়েও যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে!!
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !