রহমত আলী হেলালী
জকিগঞ্জ তথা সিলেটের ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা জগতের দুই তারকা লেখক মাওলানা হাফেজ মনজুরে মাওলা ও মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেলাল। লেখা লেখির জগতে তাদের দু'জনেরই রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। সমসাময়িক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন এই কিংবদন্তি দুই আলেম। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন ও সামাজিক কর্মকান্ডে পৃথক পৃথক প্লাট ফরমে থেকে দু'জনেই দেশ ও জাতির জন্য নিরবে নিভৃতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি লেখক ও গবেষক আব্দুল আউয়াল হেলাল "সময়ের স্বাক্ষী" নামে প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছেন। বইটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে লেখক আব্দুল আউয়াল হেলালকে নিয়ে সিলেট নগরীর উপশহরস্থ দারুল আজহার মডেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মনজুরে মাওলা "সময়ের স্বাক্ষী হোক শতাব্দীর স্বাক্ষী" শিরোনামে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরছি।
তিনি লিখেন- সময়ের স্বাক্ষী। এক আবেদনময়ী নাম। ব্যাতিক্রমি পুস্তক। বইটি বাজারে আসার ঘন্টাধ্বনি শুনে আসছি অনেক দিন। এতোদিন অপেক্ষায় ছিলাম তাই। জানলাম, আসি আসি করে অবশেষে মার্কেটে আবির্ভাব ঘটেছে সুদর নামের বইটির। কোন্ লাইব্রেরী থেকে এর একটি কপি সংগ্রহ করা যায়? - চিন্তা করছিলাম। কিন্তু এরই মাঝে সুদূর বিলেত থেকে দিলী তাওয়াজ্জুহ দিলেন বইটির মেহেরবান লেখক মহোদয়। সেদিন এক মুহতারাম কল দিয়ে লোকেশন জেনে দারুল আজহারে তাশরীফ আনেন। সময়ের স্বাক্ষী হাতে তুলে দিয়ে তিনি লেখক হযরতের সালাম জানালেন। আমি যুগপথ, আনন্দিত ও লজ্জিত অনুভব করলাম।
"সময়ের স্বাক্ষী" গবেষক মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেলাল রচিত প্রায় তিনশত পৃষ্ঠার বই। জনাব হেলাল বহুদিন থেকে স্রোতের উল্টো বৈঠা চালিয়ে দাঁড় বেয়ে যাচ্ছেন। সত্যের অনুসন্ধান আর সামস্টিক চেতনাবোধ তাকে এক ভিন্ন পজিশনে এনে দাড় করিয়েছে। এই বৈরী সময় ও সমাজে থেকেও তিনি সময়ের সঠিক বিবরণ ক্রমাগত লিখছেন। বলে যাচ্ছেন। বয়ে যাওয়া সময়ের বিভিন্ন বাঁকে তিনি নাফসি নাফসির জিকির ত্যাগ করে দ্বীন ও উম্মতের ফিকির করছেন। তাঁর এসব চিন্তা, ফিকির, লেখা, গবেষণা কোনোটিই হারিয়ে যাওয়ার নয়। এ সবের আবেদন থেকে যাবে কাল থেকে কালান্তরে। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ের লেখা ও চিন্তা আগে থেকেই আমাদের কাছে সত্যের সাক্ষী হয়ে আছে। সেই ইখলাসপূর্ণ তথ্যবহুল লেখাগুলো এমনিতেই পাঠকের মাঝে বেঁচে থাকবে বহুদিন। সেসব মুল্যবান রচনা "সময়ের সময়ের সাক্ষী" নামে মলাটবন্দী হয়ে একই তশতরীতে আমাদের সামনে পরিবেশিত হলো-এটা যার পর নাই আনন্দের।
ইংল্যান্ড পাড়ি দেয়া মানুষ দু'হাতে কামাচ্ছেন। আমাদের কাছের কতো লোক এখন অার্থিক উচ্চতায় ধরা ছোয়া-নাগালের বাইরে। এই পরম সফলতার দেশে বাস করেও আমাদের হেলাল ভাই কি না পড়ে রয়েছেন সমাজ, দ্বীন আর ইসলাম নিয়ে। দেশে আসলে যেখানে অন্যদর ব্যস্ততা থাকে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক গ্রুপের সাথে বৈঠক নিয়ে, সেখানে আব্দুল আউয়াল হেলাল সময় কাটান দ্বীনি চেতনার কর্মীদের সাথে। জানিনা বিলেতে, সিলেটে বা বাড়িতে তিনি কোনো ফ্লাট-দালান করেছেন কি না। তবে জানি তাঁর অর্থায়নে জকিগঞ্জে গড়ে উঠেছে বহুতল বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন হবিবিয়া পাঠাগার ও ইসলামিক কম্প্লেক্স। যা তার নয় ; যুগ যুগ ধরে কাজে আসবে শুধূ দ্বীন ও সমাজের কল্যাণে।
আমাদের এ রকম কয়েকজন হেলাল ভাইয়ের দরকার। যারা রঙ্গিন মৌজ মাস্তির এ দুনিয়ায় বাস করেও পড়ে থাকবে ত্যাগের স্বাদ নিয়ে। দ্বীন ও সমাজকে আলোকিত করার জন্যে নিজে গ্রহণ করবে আনন্দিত পানসে জীবন। নতুন জন্ম নেয়া "সময়ের সাক্ষী" দীর্ঘজীবি হোক। হয়ে থাক শতাব্দীর সাক্ষী হয়ে।
হে আল্লাহ!
তুমি আব্দুল আউয়াল হেলালকে কবুল কর।
তাঁর মেধা, চিন্তা, মেহনত ও খিদমাতকে কওমের তরে কবুল কর।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !