স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের পশ্চিম গোটারগ্রাম মোকামবাড়িতে রহস্যজনক আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত গৃহবধু জুলফা ইয়াসমিন মৌসুমীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মৌসুমীর লাশ হস্তান্তর করে ডিএমপি পুলিশ। শনিবার সকাল ৯ ঘটিকায় নিহত মৌসুমীর বাবার বাড়ি উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের দেবোত্তর গ্রামের জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত মৌসুমীর পিতা আব্দুল জলিল (জলু মিয়া) বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোঃ/০৩) এর ৪(১)/৩০ ধারায় ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-১৩, তাং-১৩/১২/২০১৯ ইংরেজী। মামলার আসামীরা হলেন- নিহত মৌসুমীর স্বামী আব্দুল মুমিত মাহিন (২৭), দেবর শাহিন আহমদ (২৫) ও ননদ হেলি বেগম (২২)।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসের জানান, মামলার এজাহারনামীয় সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রকৃত ঘটনা বের করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি নারী নির্যাতন বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে, গত রোববার (৮ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গোটারগ্রামের মোকাম বাড়িতে স্বামীর বাড়ির বাথরুমে রহস্যজনক আগুনে একই উপজেলার দেবোত্তর গ্রামের আব্দুল জলিল (জলু মিয়া)'র মেয়ে জুলফা আক্তার মৌসুমী দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ২দিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হলে মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বরে) ভোর ৫টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !