স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছালাম কর্তৃক একই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনকে চুরির ঘটনায় অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাতে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে সর্বত্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্ব মহলে দাবী উঠে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বড়বন্দ গ্রামের বাসিন্দা এবাদুর রহমানের বাড়িতে প্রায় ১০ মাস পূর্বে একটি চুরির ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে বেধম মারপিট করেন আব্দুস ছালাম মেম্বার। এ ঘটনার দীর্ঘ ১০ মাসের অধিক সময় পার হলেও এনিয়ে নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার কোন অভিযোগ করেনি। বুধবার গিয়াস উদ্দিনকে নির্মমভাবে নির্যাতনের ২৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, এবাদ মেম্বারের বাড়ির উঠানে বেশ কিছু মানুষের উপস্থিতিতে বাঁশের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে গিয়াস উদ্দিনকে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেঠাচ্ছেন আব্দুস ছালাম মেম্বার। নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন চিৎকার, চেচামেচি ও বাঁচার আকুতি জানিয়ে তাকে রক্ষার আর্তনাদ করেন। কিন্তু নির্যাতনকারী কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ তাকে মারপিট থেকে নিভৃত করেননি।
স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বিচারের নামে অমানুষিক নির্যাতন ও নারী কেলেঙ্কারী সহ বিভিন্ন ঘটনায় এধিকবার আলোচনায় আসেন ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোন কথা না বলায় তিনি দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে গত ১০ নভেম্বর উপজেলার আটগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা নও মুসলিম আব্দুল মান্নান বুতুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আলোচনায় চলে আসেন ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম। নও মুসলিম আব্দুল মান্নান বুতুলকে ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম গং বেধড়ক মারধর করে জোরপূর্বক বিষ পান করিয়ে হত্যা করেছেন বলে গত ১৪ নভেম্বর সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বসেন মৃত আব্দুল মান্নান বুতুলের চাচাতো ভাই শাকিল আহমদ। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্ত করছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়। এরই ফাঁকে বুধবার সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় আব্দুস ছালাম মেম্বার কর্তৃক গিয়াস উদ্দিনকে নির্মম নির্যাতনের একটি ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও। আর এ ভিডিও-ই কাল হয়ে দাঁড়ায় আব্দুস ছালাম মেম্বারের জীবনে। সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সহ পুলিশের বিভিন্ন টিম এখন আব্দুস ছালাম মেম্বার সহ সহযোগিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় পুলিশের হাতে আটক হতে পারেন প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। আমরা আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তিনি জকিগঞ্জবাসীকে ধৈর্য ধরার ও পুলিশকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় জানান, আটগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পের আব্দুল মান্নান বুতুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় শাকিল আহমদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাটি তদন্ত করছি। এর মধ্যেই এই ভিডিওটি পাওয়া গেছে । তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত প্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছালাম কর্তৃক একই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনকে চুরির ঘটনায় অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাতে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে সর্বত্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্ব মহলে দাবী উঠে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বড়বন্দ গ্রামের বাসিন্দা এবাদুর রহমানের বাড়িতে প্রায় ১০ মাস পূর্বে একটি চুরির ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে বেধম মারপিট করেন আব্দুস ছালাম মেম্বার। এ ঘটনার দীর্ঘ ১০ মাসের অধিক সময় পার হলেও এনিয়ে নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার কোন অভিযোগ করেনি। বুধবার গিয়াস উদ্দিনকে নির্মমভাবে নির্যাতনের ২৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, এবাদ মেম্বারের বাড়ির উঠানে বেশ কিছু মানুষের উপস্থিতিতে বাঁশের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে গিয়াস উদ্দিনকে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেঠাচ্ছেন আব্দুস ছালাম মেম্বার। নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন চিৎকার, চেচামেচি ও বাঁচার আকুতি জানিয়ে তাকে রক্ষার আর্তনাদ করেন। কিন্তু নির্যাতনকারী কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ তাকে মারপিট থেকে নিভৃত করেননি।
স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বিচারের নামে অমানুষিক নির্যাতন ও নারী কেলেঙ্কারী সহ বিভিন্ন ঘটনায় এধিকবার আলোচনায় আসেন ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোন কথা না বলায় তিনি দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে গত ১০ নভেম্বর উপজেলার আটগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা নও মুসলিম আব্দুল মান্নান বুতুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আলোচনায় চলে আসেন ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম। নও মুসলিম আব্দুল মান্নান বুতুলকে ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম গং বেধড়ক মারধর করে জোরপূর্বক বিষ পান করিয়ে হত্যা করেছেন বলে গত ১৪ নভেম্বর সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বসেন মৃত আব্দুল মান্নান বুতুলের চাচাতো ভাই শাকিল আহমদ। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্ত করছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়। এরই ফাঁকে বুধবার সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় আব্দুস ছালাম মেম্বার কর্তৃক গিয়াস উদ্দিনকে নির্মম নির্যাতনের একটি ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও। আর এ ভিডিও-ই কাল হয়ে দাঁড়ায় আব্দুস ছালাম মেম্বারের জীবনে। সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সহ পুলিশের বিভিন্ন টিম এখন আব্দুস ছালাম মেম্বার সহ সহযোগিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় পুলিশের হাতে আটক হতে পারেন প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। আমরা আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তিনি জকিগঞ্জবাসীকে ধৈর্য ধরার ও পুলিশকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় জানান, আটগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পের আব্দুল মান্নান বুতুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় শাকিল আহমদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাটি তদন্ত করছি। এর মধ্যেই এই ভিডিওটি পাওয়া গেছে । তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত প্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !