স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষক কাওছার আহমদকে রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয় ছুটির পর টমটম নামক অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব মজলি এলাকায় চালক ও তার সহযোগির হাতে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের খবর পেয়েই সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর সরাসরি তদারকিতে আসামী ধরতে রাতে মাঠে নামে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। রাতব্যাপী এ অভিযানে মাঠে থেকে নেতৃত্বদেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়। 'আসামী গ্রেফতার না করে থানায় ফিরবো না' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ঘোষণা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোঃ আব্দুন নাসের। অভিযানে গ্রুপ ভিত্তিক নেতৃত্বদেন ওসি (তদন্ত) শুশংকর পাল। অভিযানে অংশ নেন জকিগঞ্জ থানার এসআই সম্রাজ মিয়া, এএসআই মোঃ তাজুল ইসলাম, এএসআই কানন কুমার, এএসআই মখলিছ মিয়াসহ একদল পুলিশ। রাতব্যাপী অভিযান করে ফোন টেকিং এর মাধ্যমে ধর্ষক কাওছার আহমদকে ১৫ অক্টোবর ভোরে উপজেলার বিরশ্রী ইউনিয়নের বড়পাথর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটক কাওছার আহমদ (২২) উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নালুচক গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোঃ আব্দুন নাসের জানান, লোমহর্ষক এ ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়েই আসামী ধরতে আমরা অভিযান শুরু করি। জকিগঞ্জ থানা পুলিশের রাতব্যাপী নিরলস এ অভিযান সরাসরি তদারকি করেন সিলেটের পুলিশ সুপার স্যার এবং মাঠে থেকে সরাসরি নেতৃত্বদেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) স্যার। জকিগঞ্জ থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার ঘটনার ১২ ঘন্টার ভিতরেই মূল আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পলাতক আসামী নাজিম উদ্দিনকে ধরতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় জানান, এমন একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা খবর শুনেই আমি আসামী ধরতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান শুরু করি। রাতব্যাপী নির্ঘুম অভিযান শেষে ভোরে আমরা মূল আসামী ধরতে সক্ষম হই। পলাতক আসামীকে ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !