রহমত আলী হেলালী
পুলিশকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। কেউ কেউ পুলিশকে একটা 'গালি' দিতে পারলেই যেন বড় মানুষ হয়ে যান। কথাটা কখনও কখনও হয়তো ঠিক। তবে সেটা অনেক আগের কথা। এখন পুলিশ সত্যিই মানুষের বন্ধু। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ সদস্যদেরর বেশ কিছু মানবিক আচরণ, বিপদে সহায়তার হাত বাড়ানো, গরিব-অসহায়দের সহায়তায় নানা উদ্যোগ এমনকি নিজের জীবন বিপন্ন করেও পুলিশ সদস্যরা সামাজিক-মানবিক কাজে ভূমিকা রাখছেন।
তেমনি এক অনন্য মানবিক আচরণ করল সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসেরে নির্দেশনায় গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যাওয়া এতিম এক শিশু সহ দুই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ খরচ দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে রাত্রীকালীন ডিউটি করছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় পার্শ্ববর্তী সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে হঠাৎ কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে এগিয়ে যায় পুলিশের রাত্রীকালীন টহল দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলেন আগুন লেগে একটি শিশু সহ ২ জন নারী পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। গভীর রাতে পরিবহন সংকটে আগুনে পুড়ে যাওয়া নারী-শিশুকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছেন না। টহল দলে থাকা এএসআই তাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসেরের নির্দেশে পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে নিজেদের বহনকৃত গাড়িতে করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রিপন আহমদের সহযোগিতায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন, গুচ্ছগ্রামের মৃত শাকিল আহমদের স্ত্রী ফাতিহা বেগম (২৫), এতিম শিশু কন্যা বুশরা বেগম (০৩) ও মৃত মখদ্দছ আলীর স্ত্রী রুশনা বেগম (৫০)।
জকিগঞ্জ থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জানান, আমি আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় নারী-শিশুকে দেখে শিহরিত হয়ে উঠি। তাদের শরীরের পুড়া অংশ দেখে আমার শরীরের প্রতিটি পশম দাঁড়িয়ে যায়। তাই তাৎক্ষনিক ওসি স্যারকে অবগত করে উনার নির্দেশে হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেটে প্রেরণ করি। এ সময় আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী তাদের চিকিৎসার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে দুই হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি।
জকিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর রিপন আহমদ বলেন, পুলিশ যে পেশাগত দায়িত্ব পালনের বাইরেও মানবিক আচরণ করছে এ ঘটনা তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পুলিশ গভীর রাতে অসহায় এ পরিবারের পাশে না দাঁড়ালে হয়তো ওরা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করতো। আমাকে এএসআই তাজুল ইসলাম বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিক অসহায়দের পাশে দাঁড়াই। সামর্থ অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা করি। অসহায় এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর প্রতি কৃতজ্ঞ। কেননা উনি গভীর রাতে হাসপাতালে এসে নিজেই আগুনে পুড়ে যাওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছেন।
তেমনি এক অনন্য মানবিক আচরণ করল সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসেরে নির্দেশনায় গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যাওয়া এতিম এক শিশু সহ দুই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ খরচ দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে রাত্রীকালীন ডিউটি করছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় পার্শ্ববর্তী সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে হঠাৎ কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে এগিয়ে যায় পুলিশের রাত্রীকালীন টহল দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলেন আগুন লেগে একটি শিশু সহ ২ জন নারী পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। গভীর রাতে পরিবহন সংকটে আগুনে পুড়ে যাওয়া নারী-শিশুকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছেন না। টহল দলে থাকা এএসআই তাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসেরের নির্দেশে পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে নিজেদের বহনকৃত গাড়িতে করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রিপন আহমদের সহযোগিতায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন, গুচ্ছগ্রামের মৃত শাকিল আহমদের স্ত্রী ফাতিহা বেগম (২৫), এতিম শিশু কন্যা বুশরা বেগম (০৩) ও মৃত মখদ্দছ আলীর স্ত্রী রুশনা বেগম (৫০)।
জকিগঞ্জ থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জানান, আমি আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় নারী-শিশুকে দেখে শিহরিত হয়ে উঠি। তাদের শরীরের পুড়া অংশ দেখে আমার শরীরের প্রতিটি পশম দাঁড়িয়ে যায়। তাই তাৎক্ষনিক ওসি স্যারকে অবগত করে উনার নির্দেশে হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেটে প্রেরণ করি। এ সময় আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী তাদের চিকিৎসার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে দুই হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি।
জকিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর রিপন আহমদ বলেন, পুলিশ যে পেশাগত দায়িত্ব পালনের বাইরেও মানবিক আচরণ করছে এ ঘটনা তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পুলিশ গভীর রাতে অসহায় এ পরিবারের পাশে না দাঁড়ালে হয়তো ওরা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করতো। আমাকে এএসআই তাজুল ইসলাম বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিক অসহায়দের পাশে দাঁড়াই। সামর্থ অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা করি। অসহায় এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর প্রতি কৃতজ্ঞ। কেননা উনি গভীর রাতে হাসপাতালে এসে নিজেই আগুনে পুড়ে যাওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !