রহমত আলী হেলালী
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় সংস্কারের অভাবে বেশিরভাগ গ্রামীন ও ইউনিয়ন সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরপুর সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। প্রায় ঘটছে প্রাণহানিসহ ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। সঙ্গে রয়েছে বর্ষা মৌসুমে কাদা-মাাটি, পানি ও শুকè মৌসুমে ধূলো-বালির উপদ্রব। ব্যবসা-বাণিজ্যেতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন এলাকাবাসী সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও দৃষ্টি নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে পর্যায়ক্রমে সড়ক সংস্কার হবে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক ও এলজিইডির প্রধান দু’টি সড়ক জকিগঞ্জ-শেওলা ও আটগ্রাম-জকিগঞ্জ সড়ক সম্প্রতি সংস্কার হলেও পুরো উপজেলার গ্রামীন ও ইউনিয়ন সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলজিইডির ৭টি উপজেলা সড়কের মধ্যে ২টি ছাড়া বাকি সব ক’টি সড়কের বেহাল দশা। ১১টি ইউনিয়ন সড়কের প্রতিটি খানাখন্দে ভরপুর হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আর দেড় শতাধিক গ্রামীন রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। খানাখন্দে ভরা এসব রস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শহরে যাতায়াত করছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এইসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বেশিরভাগ বিকল হয়ে পড়ছে। শুকè মৌসুমে ধূলো-বালির আস্তরণে ঢাকা পড়ছে রাস্তার আশেপাশের বাড়িগুলো। আর বর্ষায় কাদা মাটি আর পানিতে গর্ত ভরে হয়ে উঠে কৃষি জমি। ফলে আধাঘন্টার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে দুই ঘন্টায়। সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের। অথচ দেখে বোঝার উপায় নেই, একসময় পিচের আস্তরণে ঢাকা ছিল রাস্তা গুলো!
এলাকাবাসী জানান, জকিগঞ্জ উপজেলার গ্রামীন ও ইউনিয়ন রাস্তাগুলো বছরের পর বছর ভাঙ্গাচোড়া থাকলেও সেটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। গত বন্যা ও চলতি বর্ষায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়লেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ একটুও নজর দেয়নি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ তথা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এসব সড়কের নির্মাণকাজের গুনগত মান নিম্নমানের হওয়ায় মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে জনদূর্ভোগও ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ থেকে উত্তরণের নেই কোন উপায়।
এ ব্যাপারে ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের দাবী নিয়ে আমরা একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্থ করেছেন আগামী পাঁচ বছরে উপজেলার আইডিভুক্ত সকল রাস্তা পাকাকরণ ও ভেঙ্গে যাওয়া পাকা রাস্তা সংস্কার করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা সংস্কারে ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চলতি বছরেই ১৭টি গ্রামীন ও ইউনিয়ন রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হবে। ক্রমান্নয়ে বাকি রাস্তাগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা পাঁচ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে সকল আইডিভুক্ত রাস্তার তালিকা রেডি করে পাকাকরণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাকি কাঁচা রাস্তাগুলোর তালিকা আমরা করছি। ক্রমান্নয়ে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের সব ক’টি রাস্তা পাকাকরণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, এক সময় মানুষ বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করেছে। আজ সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার সব ক’টি রাস্তা পাকাকরণ করা হবে। তবে ভেঙ্গে যাওয়া পাকা রাস্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি দুর্বল দিক হচ্ছে কোন কাজের ক্ষেত্রে গুনগত মান ঠিক থাকেনা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় খুব অল্প সময়ে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। অপরদিকে যে রাস্তায় ছোট ছোট গাড়ি চলাচল করার কথা সে রাস্তায় চলে ভারী যানবাহন। ইট, পাথর ও বালু নিয়ে বড় বড় ট্রাক ঢুকে পড়ে গ্রামীন রাস্তায়। এ কারণে খুব দ্রুত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে যায়। তবে আমরা এ থেকে উত্তরণের পথ খুজছি।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় সংস্কারের অভাবে বেশিরভাগ গ্রামীন ও ইউনিয়ন সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরপুর সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। প্রায় ঘটছে প্রাণহানিসহ ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। সঙ্গে রয়েছে বর্ষা মৌসুমে কাদা-মাাটি, পানি ও শুকè মৌসুমে ধূলো-বালির উপদ্রব। ব্যবসা-বাণিজ্যেতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন এলাকাবাসী সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও দৃষ্টি নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে পর্যায়ক্রমে সড়ক সংস্কার হবে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক ও এলজিইডির প্রধান দু’টি সড়ক জকিগঞ্জ-শেওলা ও আটগ্রাম-জকিগঞ্জ সড়ক সম্প্রতি সংস্কার হলেও পুরো উপজেলার গ্রামীন ও ইউনিয়ন সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলজিইডির ৭টি উপজেলা সড়কের মধ্যে ২টি ছাড়া বাকি সব ক’টি সড়কের বেহাল দশা। ১১টি ইউনিয়ন সড়কের প্রতিটি খানাখন্দে ভরপুর হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আর দেড় শতাধিক গ্রামীন রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। খানাখন্দে ভরা এসব রস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শহরে যাতায়াত করছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এইসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বেশিরভাগ বিকল হয়ে পড়ছে। শুকè মৌসুমে ধূলো-বালির আস্তরণে ঢাকা পড়ছে রাস্তার আশেপাশের বাড়িগুলো। আর বর্ষায় কাদা মাটি আর পানিতে গর্ত ভরে হয়ে উঠে কৃষি জমি। ফলে আধাঘন্টার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে দুই ঘন্টায়। সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের। অথচ দেখে বোঝার উপায় নেই, একসময় পিচের আস্তরণে ঢাকা ছিল রাস্তা গুলো!
এলাকাবাসী জানান, জকিগঞ্জ উপজেলার গ্রামীন ও ইউনিয়ন রাস্তাগুলো বছরের পর বছর ভাঙ্গাচোড়া থাকলেও সেটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। গত বন্যা ও চলতি বর্ষায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়লেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ একটুও নজর দেয়নি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ তথা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এসব সড়কের নির্মাণকাজের গুনগত মান নিম্নমানের হওয়ায় মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে জনদূর্ভোগও ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ থেকে উত্তরণের নেই কোন উপায়।
এ ব্যাপারে ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের দাবী নিয়ে আমরা একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্থ করেছেন আগামী পাঁচ বছরে উপজেলার আইডিভুক্ত সকল রাস্তা পাকাকরণ ও ভেঙ্গে যাওয়া পাকা রাস্তা সংস্কার করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা সংস্কারে ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চলতি বছরেই ১৭টি গ্রামীন ও ইউনিয়ন রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হবে। ক্রমান্নয়ে বাকি রাস্তাগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা পাঁচ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে সকল আইডিভুক্ত রাস্তার তালিকা রেডি করে পাকাকরণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাকি কাঁচা রাস্তাগুলোর তালিকা আমরা করছি। ক্রমান্নয়ে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের সব ক’টি রাস্তা পাকাকরণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, এক সময় মানুষ বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করেছে। আজ সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার সব ক’টি রাস্তা পাকাকরণ করা হবে। তবে ভেঙ্গে যাওয়া পাকা রাস্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি দুর্বল দিক হচ্ছে কোন কাজের ক্ষেত্রে গুনগত মান ঠিক থাকেনা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় খুব অল্প সময়ে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। অপরদিকে যে রাস্তায় ছোট ছোট গাড়ি চলাচল করার কথা সে রাস্তায় চলে ভারী যানবাহন। ইট, পাথর ও বালু নিয়ে বড় বড় ট্রাক ঢুকে পড়ে গ্রামীন রাস্তায়। এ কারণে খুব দ্রুত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে যায়। তবে আমরা এ থেকে উত্তরণের পথ খুজছি।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !