রহমত আলী হেলালী
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অর্ন্তগত জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার জনসাধারণ। উৎকোচ ছাড়া তেমন কোন কাজ হয়না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকদের অনেকেই। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভার প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনসাধারণ বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপকর্মে চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক সংখ্যা থাকলেও দূর্ভোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। অথচ সিলেট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও জকিগঞ্জ পৌরসভা ছাড়া সকল এলাকায় বেশীরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় গ্রাহকদের। ভ্যাপসা গরমের মাঝে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাসা বাড়ি ও হাসপাতালে অসুস্থ রোগী ও শিশুদের রাখা খুব কষ্ট হচ্ছে। মার্কেট ও অফিসের কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানীর গরু ছাগলসহ ঈদ সামগ্রী ক্রয়ের জন্য মানুষ ব্যাংকের দ্বারস্থ হলে বিদ্যুতের দিনভর অযাচিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার ফলাহাট, লোহারমল, জামুরাইল, বিয়াবাইল, ভরণসুলতানপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ঝুলে আছে। কোথাও কোথাও ঝুঁকিপূর্ণভাবে এক লাইনে বিদ্যুৎ ব্যবহার চলছে। বিদ্যুৎ লাইনের পার্শ্ববর্তী গাছপালা সময় মতো কর্তন না করায় বিভিন্ন এলাকা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকতে হয়। আকাশের রং পরিবর্তন হওয়ায় আগেই হালকা বাতাসে বিদ্যুৎ চলে যায়।
জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাবর হোসেন চৌধুরী, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের এবং যুবলীগ নেতা আব্দুল মুনিম জানান, জকিগঞ্জে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ঠ হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়ক থেকে পলাশপুর মুখী বিদ্যুতের খুঁটিতে মাত্র একটি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া পশ্চিম গোটারগ্রামের আব্দুস সালাম মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন পূর্ব পাশে রাস্তার উপরে প্রায় একবছর যাবত ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইন মাত্র ৫ ফুট উপরে ঝুলে আছে। কোন উৎকোচের আশ্বাস না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত লাইনগুলোতে কোন কাজ করা হয়নি। লাইনের এমন অবস্থা হওয়ার কারণে ভোল্টেজ এর অভাবে ইলেকট্রিক ফ্রিজ, মোটর, আয়রন ও ফ্যান ব্যবহার করা যায় না। স্থানীয়রা এসব বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের তৎকালীন ডিজিএম ও ইঞ্জিনিয়ারকে অবগত করলেও কোন কাজ হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর অফিসে লক্ষ লক্ষ টাকা গাছপালা কর্তন লাইন মেরামতের জন্য আসে কোন কাজ না করে নীরবে আত্মসাৎ করছে স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। খুটি স্থানান্তর বা ট্রান্সমিটার পরিবর্তনে টাকা জমা ছাড়া স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কাজ সম্পুর্ন করা হয়। অফিসের দালালদের মাধ্যমে ডেমারগ্রামের ১০টি মিটার উধাও হলেও এখনো পর্যন্ত মিটারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক সময় মনগড়া বিল তৈরি করে দীর্ঘদিনের পুরাতন পরিশোধিত বিলে তুলে দেওয়া হয়। বিল প্রস্তুতকারী এহেন খামখেয়ালি ও অনিয়মের ফলে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত মাশুল।
এ বিষয়ে জানতে জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অর্ন্তগত জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার জনসাধারণ। উৎকোচ ছাড়া তেমন কোন কাজ হয়না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকদের অনেকেই। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভার প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনসাধারণ বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপকর্মে চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক সংখ্যা থাকলেও দূর্ভোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। অথচ সিলেট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও জকিগঞ্জ পৌরসভা ছাড়া সকল এলাকায় বেশীরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় গ্রাহকদের। ভ্যাপসা গরমের মাঝে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাসা বাড়ি ও হাসপাতালে অসুস্থ রোগী ও শিশুদের রাখা খুব কষ্ট হচ্ছে। মার্কেট ও অফিসের কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানীর গরু ছাগলসহ ঈদ সামগ্রী ক্রয়ের জন্য মানুষ ব্যাংকের দ্বারস্থ হলে বিদ্যুতের দিনভর অযাচিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার ফলাহাট, লোহারমল, জামুরাইল, বিয়াবাইল, ভরণসুলতানপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ঝুলে আছে। কোথাও কোথাও ঝুঁকিপূর্ণভাবে এক লাইনে বিদ্যুৎ ব্যবহার চলছে। বিদ্যুৎ লাইনের পার্শ্ববর্তী গাছপালা সময় মতো কর্তন না করায় বিভিন্ন এলাকা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকতে হয়। আকাশের রং পরিবর্তন হওয়ায় আগেই হালকা বাতাসে বিদ্যুৎ চলে যায়।
জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাবর হোসেন চৌধুরী, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের এবং যুবলীগ নেতা আব্দুল মুনিম জানান, জকিগঞ্জে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ঠ হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়ক থেকে পলাশপুর মুখী বিদ্যুতের খুঁটিতে মাত্র একটি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া পশ্চিম গোটারগ্রামের আব্দুস সালাম মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন পূর্ব পাশে রাস্তার উপরে প্রায় একবছর যাবত ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইন মাত্র ৫ ফুট উপরে ঝুলে আছে। কোন উৎকোচের আশ্বাস না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত লাইনগুলোতে কোন কাজ করা হয়নি। লাইনের এমন অবস্থা হওয়ার কারণে ভোল্টেজ এর অভাবে ইলেকট্রিক ফ্রিজ, মোটর, আয়রন ও ফ্যান ব্যবহার করা যায় না। স্থানীয়রা এসব বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের তৎকালীন ডিজিএম ও ইঞ্জিনিয়ারকে অবগত করলেও কোন কাজ হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর অফিসে লক্ষ লক্ষ টাকা গাছপালা কর্তন লাইন মেরামতের জন্য আসে কোন কাজ না করে নীরবে আত্মসাৎ করছে স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। খুটি স্থানান্তর বা ট্রান্সমিটার পরিবর্তনে টাকা জমা ছাড়া স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কাজ সম্পুর্ন করা হয়। অফিসের দালালদের মাধ্যমে ডেমারগ্রামের ১০টি মিটার উধাও হলেও এখনো পর্যন্ত মিটারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক সময় মনগড়া বিল তৈরি করে দীর্ঘদিনের পুরাতন পরিশোধিত বিলে তুলে দেওয়া হয়। বিল প্রস্তুতকারী এহেন খামখেয়ালি ও অনিয়মের ফলে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত মাশুল।
এ বিষয়ে জানতে জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !