রহমত আলী হেলালী
গত এক সাপ্তাহের হালকা ও ভারী বর্ষণে সিলেটের সীমান্ততবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর, জলাশয় ও ফসলী জমি। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যে কোন সময় নদীর ডাইক ভেঙ্গে পানি ঢুকে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। অতি ঝু্ঁকিতে রয়েছে উপজেলার ছবড়িয়া, মানিকপুর, পিয়াইপুর, রসুলপুর ও নুরনগর বাঁধ। এ ৫টি বাঁধ যে কোন সময় ভেঙ্গে পানি ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। গত বছরের ন্যায় এবারও বন্যা দেখা দিলে এলাকার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, সিলেটে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে বাড়তে শুরু করেছে সুরমা-কুশিয়ারা সহ খাল-বিলের পানি। অনবরত বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে ১২ মিলিমিটার। আগামী তিন থেকে চার দিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে- বেলা ১২টায় সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০.৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কানাইঘাটে প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৩.২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলায় প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১২.৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। জৈন্তাপুর সারী নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১১.৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কানাইঘাটে লোভাছড়ার পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৪.৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এছাড়া সকাল ৯টার প্রাপ্ত তথ্যে জকিগঞ্জের আমলশীদে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৫.৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এদিকে শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শনে যান সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই মো. মনির হোসেন, এসও মো. সেলিম ও জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বলেন, বিরাম বৃষ্টিপাতে জকিগঞ্জের নিম্মাঞ্চলের ফসলী জমি ডুবে গেছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ডাইক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এখন সরেজমিন পরিদর্শনে রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, সিলেটে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে বাড়তে শুরু করেছে সুরমা-কুশিয়ারা সহ খাল-বিলের পানি। অনবরত বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে ১২ মিলিমিটার। আগামী তিন থেকে চার দিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে- বেলা ১২টায় সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০.৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কানাইঘাটে প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৩.২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলায় প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১২.৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। জৈন্তাপুর সারী নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১১.৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কানাইঘাটে লোভাছড়ার পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৪.৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এছাড়া সকাল ৯টার প্রাপ্ত তথ্যে জকিগঞ্জের আমলশীদে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১৫.৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এদিকে শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শনে যান সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই মো. মনির হোসেন, এসও মো. সেলিম ও জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বলেন, বিরাম বৃষ্টিপাতে জকিগঞ্জের নিম্মাঞ্চলের ফসলী জমি ডুবে গেছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ডাইক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এখন সরেজমিন পরিদর্শনে রয়েছেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !