রহমত আলী হেলালী
জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের পীরকোণা জামে মসজিদের ৩ লক্ষ টাকার সরকারি বরাদ্ধ বাতিল হওয়ায় অর্থাভাবে দীর্ঘ ৩ মাস থেকে মসজিদের নির্মাণ কাজ আটকে আছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে মহল্লার বিপূল সংখ্যক মুসল্লিকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ মাস থেকে শিশুদের দ্বীনিয়াত শিক্ষার কারখানা সাবাহী মক্তবের কার্যক্রম বন্ধ আছে। শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না।
জানা যায়, গত বছরের শুরুতে দেশব্যাপী কবরস্থান, শশ্বান, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডা ইত্যাদি সামাজিক প্রকল্পের আওতায় অবঠামো উন্নয়নে তৎকালীন সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন পীরকোণা জামে মসজিদে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধের তালিকা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণ করেন। সে অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রক্কলন তৈরী করা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ সরকারি এই বরাদ্ধের আশায় মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে চাঁদা সংগ্রহ করে পূরাতন মসজিদ ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করতে শুরু করেন। কিন্তু বিগত সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন পর এলাকাবাসী জানতে পারেন মসজিদের বরাদ্ধ আর পাওয়া যাচ্ছেনা। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার এ তালিকা পরিবর্তন করে অন্যত্র বরাদ্ধ প্রদান করেছেন। এতে হতদারিদ্র এ মহল্লার মানুষের মধ্যে চরম দূর্বলতা দেখা দেয়। সরকারি বরাদ্ধের আশায় যেভাবে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলেন ঠিক সেভাবে তা সম্পন্ন করা তাদের জন্য সীমাহীন কঠিন হয়ে পড়ে। মহল্লায় একাধিকবার চাঁদা সংগ্রহ করে এবং এলাকার প্রবাসীদের থেকে এককালীন চাঁদা সংগ্রহ করে কাজ কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের টাকা সংগ্রহের জন্য প্রায় ৩ মাস থেকে মহল্লার মুসল্লিরা দাতা ব্যক্তিগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এহেন পরিস্থিতিতে এ মহল্লার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহল্লার বাসিন্দা বদরুল হক বলেন, সরকারি বরাদ্ধের আশায় আমরা নিজেরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে নতুন করে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা শুনেছি এই মসজিদের বরাদ্ধ এখান থেকে অন্যত্র দেয়া হয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতে আমাদের মহল্লার মানুষ চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে আমি আশাবাদী ধর্মপ্রাণ হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ কেউ না কেউ মসজিদ নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসবেন।
মসজিদের মুতাওয়াল্লি মোঃ আব্দুল করিম বলেন, আমাদের মহল্লার বেশীরভাগ দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। পূরাতন মসজিদ ছোট ও ভাঙ্গাচোড়া হলেও আমরা কষ্ট করে নামাজ আদায় করতাম এবং বাচ্চারা সকালে দ্বীনিয়াত শিখতো। কিন্তু সরকারি বরাদ্ধের আশায় আমরা মসজিদ ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। এখন মসজিদের কাজ সম্পন্ন করতে আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, আমি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন এমপি সাবকে বলে এই মসজিদের ৩ লক্ষ টাকার একটি বরাদ্ধ নিয়ে এসেছিলাম। আমরা এই বরাদ্ধ পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু বর্তমান এমপি সাব নির্বাচিত হয়ে এই বরাদ্ধ অন্যত্র দিয়েছেন বলে শুনা যাচ্ছে। আমি এখন মহল্লাবাসীর নিকট খুবই লজ্জিত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা প্রক্কলন তৈরী করে পাঠিয়েছি, কিন্তু তা কি কারণে হয়নি তা জানিনা।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের একান্তজন আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বছরে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বেশ কিছু বরাদ্ধ ফেরত গিয়েছে। ঠিক মতো তদারকির অভাবে নির্ধারিত সময়ে প্রক্কলন তৈরী করে না পাঠানোর কারণে এমনটি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল অফিস যদি যথা সময়ে প্রক্কলন তৈরী করে পাঠিয়ে দিতো তাহলে বিশাল অংকের এই টাকা ফেরত যেতনা। আমি পরবর্তীতে অনেক চেষ্ঠা করে কিছু বরাদ্ধ আটকানোর চেষ্ঠা করেছি। এ মসজিদের টাকা সম্ভবত তদারকির অভাবে ফেরত চলে গেছে। এখন তো আর সেই বরাদ্ধ আর পাওয়া যাবেনা।
জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের পীরকোণা জামে মসজিদের ৩ লক্ষ টাকার সরকারি বরাদ্ধ বাতিল হওয়ায় অর্থাভাবে দীর্ঘ ৩ মাস থেকে মসজিদের নির্মাণ কাজ আটকে আছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে মহল্লার বিপূল সংখ্যক মুসল্লিকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ মাস থেকে শিশুদের দ্বীনিয়াত শিক্ষার কারখানা সাবাহী মক্তবের কার্যক্রম বন্ধ আছে। শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না।
জানা যায়, গত বছরের শুরুতে দেশব্যাপী কবরস্থান, শশ্বান, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডা ইত্যাদি সামাজিক প্রকল্পের আওতায় অবঠামো উন্নয়নে তৎকালীন সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন পীরকোণা জামে মসজিদে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধের তালিকা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণ করেন। সে অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রক্কলন তৈরী করা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ সরকারি এই বরাদ্ধের আশায় মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে চাঁদা সংগ্রহ করে পূরাতন মসজিদ ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করতে শুরু করেন। কিন্তু বিগত সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন পর এলাকাবাসী জানতে পারেন মসজিদের বরাদ্ধ আর পাওয়া যাচ্ছেনা। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার এ তালিকা পরিবর্তন করে অন্যত্র বরাদ্ধ প্রদান করেছেন। এতে হতদারিদ্র এ মহল্লার মানুষের মধ্যে চরম দূর্বলতা দেখা দেয়। সরকারি বরাদ্ধের আশায় যেভাবে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলেন ঠিক সেভাবে তা সম্পন্ন করা তাদের জন্য সীমাহীন কঠিন হয়ে পড়ে। মহল্লায় একাধিকবার চাঁদা সংগ্রহ করে এবং এলাকার প্রবাসীদের থেকে এককালীন চাঁদা সংগ্রহ করে কাজ কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের টাকা সংগ্রহের জন্য প্রায় ৩ মাস থেকে মহল্লার মুসল্লিরা দাতা ব্যক্তিগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এহেন পরিস্থিতিতে এ মহল্লার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহল্লার বাসিন্দা বদরুল হক বলেন, সরকারি বরাদ্ধের আশায় আমরা নিজেরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে নতুন করে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা শুনেছি এই মসজিদের বরাদ্ধ এখান থেকে অন্যত্র দেয়া হয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতে আমাদের মহল্লার মানুষ চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে আমি আশাবাদী ধর্মপ্রাণ হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ কেউ না কেউ মসজিদ নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসবেন।
মসজিদের মুতাওয়াল্লি মোঃ আব্দুল করিম বলেন, আমাদের মহল্লার বেশীরভাগ দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। পূরাতন মসজিদ ছোট ও ভাঙ্গাচোড়া হলেও আমরা কষ্ট করে নামাজ আদায় করতাম এবং বাচ্চারা সকালে দ্বীনিয়াত শিখতো। কিন্তু সরকারি বরাদ্ধের আশায় আমরা মসজিদ ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। এখন মসজিদের কাজ সম্পন্ন করতে আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, আমি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন এমপি সাবকে বলে এই মসজিদের ৩ লক্ষ টাকার একটি বরাদ্ধ নিয়ে এসেছিলাম। আমরা এই বরাদ্ধ পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু বর্তমান এমপি সাব নির্বাচিত হয়ে এই বরাদ্ধ অন্যত্র দিয়েছেন বলে শুনা যাচ্ছে। আমি এখন মহল্লাবাসীর নিকট খুবই লজ্জিত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা প্রক্কলন তৈরী করে পাঠিয়েছি, কিন্তু তা কি কারণে হয়নি তা জানিনা।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের একান্তজন আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বছরে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বেশ কিছু বরাদ্ধ ফেরত গিয়েছে। ঠিক মতো তদারকির অভাবে নির্ধারিত সময়ে প্রক্কলন তৈরী করে না পাঠানোর কারণে এমনটি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল অফিস যদি যথা সময়ে প্রক্কলন তৈরী করে পাঠিয়ে দিতো তাহলে বিশাল অংকের এই টাকা ফেরত যেতনা। আমি পরবর্তীতে অনেক চেষ্ঠা করে কিছু বরাদ্ধ আটকানোর চেষ্ঠা করেছি। এ মসজিদের টাকা সম্ভবত তদারকির অভাবে ফেরত চলে গেছে। এখন তো আর সেই বরাদ্ধ আর পাওয়া যাবেনা।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !