স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ অনুমোদনের কার্যক্রম সম্পন্নের নিস্কৃয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষনা করা হবেনা মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এস.আর.এম. নাজমুল আহসান ও কে.এম. কামরুল কাদেরের যৌথ ব্যঞ্চ এই রুল জারি করে।
জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৫ জন দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরীর রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট এ আদেশ প্রদান করেন। আদালত আগামী ৪ সাপ্তাহের ভিতরে রুলের জবাব প্রদানের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহন করেন এডভোকেট হাসান আহমেদ পাঠোয়ারী ও সরকার পক্ষে ছিলেন এ.জি.এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন (বাসার)।
জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ অক্টোবর নিয়োগ বোর্ড পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফলও ঘোষণা করে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও নিজের পছন্দের প্রার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর নিকট অভিযোগ করেন জনৈক এক যুবলীগ নেতা। তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক সারাদেশে দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ স্থগিত রাখার মৌখিক নির্দেশ দেন মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজা। সে অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর কোন কারণ ছাড়াই স্থগিতাদেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে পরিপত্র জারি করা হয়। এর ৪ দিনের মাথায় ২১ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অপর এক পরিপত্রের মাধ্যমে জারিকৃত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এরপর সারাদেশে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ কার্যকর হলেও অদৃশ্য কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৯ প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এনিয়ে নিয়োগ প্রত্যাশী ৩৯জন প্রার্থী মানবিক দিক বিবেচনা করে দ্রুত নিয়োগ কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘ কয়েক মাসধরে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !