রহমত আলী হেলালী
জকিগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎপ্রাপ্তি এখন কল্পনা করা যায় না। জকিগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য জায়গায় ‘বিদ্যুৎ থাকে, মাঝে মধ্যে যায়’ কথাটি শুনা গেলেও এ উপজেলায় এর পুরোটাই উল্টো। জেলা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ এলাকার মানুষের মুখে শুনা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তারা বলেন, ‘জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে!
জানা যায়, জকিগঞ্জে ঘনঘন দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ের কারণে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি আজ জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের মাঝে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিং মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত করছে। চলতি এপ্রিল মাসে হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ দৈনিক গড়ে ২০ ঘন্টার লোডশেডিংয়ের কবলে থাকতে হয় জকিগঞ্জের প্রায় তিন লক্ষ জনগণকে। বাসা-বাড়িতে ও হাসপাতালে অসুস্থ্য রোগী ও শিশুদের রাখা খুব কষ্ট হচ্ছে। মার্কেট ও অফিসের কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জকিগঞ্জবাসী। প্রতি মুহূর্তেই জকিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘটছে বিঘœ। দীর্ঘদিন যাবৎ দিন-রাতের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এখানে বিদ্যুৎ যে কখন আসে এবং কখন যায় তা কেউ বলেতে পারে না। এখন অনেকে বলছেন, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসে ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র চার্জ দেয়ার জন্য। কিন্তু গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল কম আসে না, বরং আগের চেয়ে বেশি আসে।
স্থানীয়রা জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিনে-রাতে ২৫ থেকে ২৭ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। তাও আবার ২০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকলে পরবর্তী ২/৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এমনকি কখনো যদি ২০ মিনিটের বেশী বিদ্যুৎ থাকে তাহলে এর বিপরিতে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুতের আর দেখা পাওয়া যায় না। ফলে দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ শুন্যতায় থাকতে হয় জকিগঞ্জবাসীকে। জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গত এক মাস ধরে জকিগঞ্জ বাজার, পৌর এলাকা, কালিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ক’টি বাজার ও প্রত্যান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ভোগান্তি লেগেই আছে। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরাও ক্ষতির মুখে পরে ক্ষুব্ধ। এছাড়াও অব্যাহত লোডশেডিং এর কারণে উপজেলার অনেক বিদ্যুৎ নির্ভর দোকান এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। জকিগঞ্জ থেকে প্রচারিত ৫/৬টি অনলাইন পত্রিকা বিদ্যুতের অভাবে সংবাদ প্রচার করতে পারছেনা। ফলে অনেক সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, জকিগঞ্জ সার্কেল অফিস, জকিগঞ্জ থানা, জকিগঞ্জ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কাজ বিদ্যুতের কারণে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এনিয়ে একাধিকবার মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত দোকানগুলোতে দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সারাদিনে গড়ে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। তবে প্রতিটি মার্কেটে জেনারেটর থাকলেও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে মাঝে মধ্যে বাধ্য হয়েই জেনারেটর বন্ধ রাখতে হয়। ফলে মার্কেটগুলোতে এ সময় প্রচন্ড গরম এবং অন্ধকার থাকে। ক্রেতারা প্রচন্ড ঘরম আর অন্ধকারের ভিতরে বিপনী বিতানগুলোতে প্রবেশ করেত চায় না। তাই বেচা-কিনাও খুব কম হচ্ছে। এ অবস্থায় দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন এবং দোকান মালিকদের জীবন-যাপন খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর (ক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব মিছবাহ জানান, গত কয়েকমাস ধরে আমাদের এলাকায় লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। দিনে-রাতে মিলিয়ে ২৫ থেকে ২৭ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ একবার গেলে আসছে দুই ঘণ্টা পর। আবার ২৫ মিনিট থেকেই চলে যাচ্ছে।
উপজেলার দরগাবাহারপুর গ্রামের গৃহিনী হোসনা বেগম জহুরা বলেন, লোডশেডিংয়ের কোন সময়সীমা নেই। সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। আবার রাতের বেলা আসলে এক ঘন্টা থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এ কারণে ঘরের ফ্রিজ ও মোটর সহ ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবহার করা যায়না।
উপজেলার কাজলসার ইউপি সদস্য মাওলানা কফিলুজ্জামান কফিল বলেন, লোডশেডিং তো আছেই, তার মধ্যে সামান্য ঝড় বা বৃষ্টি হলে আমাদের এলাকায় একটানা ৪/৫দিন বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন খামখেয়ালীর কারণে সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোব্ধ। যে কোন সময় মানুষ এদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠতে পারে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় বলেন, বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নিজের অফিসিয়াল কাজকর্ম করা যাচ্ছেনা। ফোন দিয়েও ডিজিএমকে পাওয়ায় যায়না। ডিজিএম অনেকটা দায়সারা মনে হচ্ছে। তিনি আইন শৃংখলা অবনতির আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আচরণে সাধারণ মানুষ যে কোন সময় বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠতে পারে। এনিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নিজের বাসায় এখন বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে আমার নিকট ফোন আসছে। আমি কাউকে কোন সদোত্তর দিতে পারছিনা। তিনি এনিয়ে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
বিদ্যুতের এমন অসহনীয় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম সনৎ কুমার ঘোষ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। ঝড় বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে লাইনে সমস্যা হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাচ্ছেনা। পুরোদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার পরও সন্ধ্যা পরে এক ঘন্টার ভিতর ৮/১০ বার কেন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে এমন প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, এটা আমরা করিনি। এটা চারখাই থেকে করা হচ্ছে।
জকিগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎপ্রাপ্তি এখন কল্পনা করা যায় না। জকিগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য জায়গায় ‘বিদ্যুৎ থাকে, মাঝে মধ্যে যায়’ কথাটি শুনা গেলেও এ উপজেলায় এর পুরোটাই উল্টো। জেলা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ এলাকার মানুষের মুখে শুনা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তারা বলেন, ‘জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে!
জানা যায়, জকিগঞ্জে ঘনঘন দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ের কারণে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি আজ জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের মাঝে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিং মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত করছে। চলতি এপ্রিল মাসে হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ দৈনিক গড়ে ২০ ঘন্টার লোডশেডিংয়ের কবলে থাকতে হয় জকিগঞ্জের প্রায় তিন লক্ষ জনগণকে। বাসা-বাড়িতে ও হাসপাতালে অসুস্থ্য রোগী ও শিশুদের রাখা খুব কষ্ট হচ্ছে। মার্কেট ও অফিসের কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জকিগঞ্জবাসী। প্রতি মুহূর্তেই জকিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘটছে বিঘœ। দীর্ঘদিন যাবৎ দিন-রাতের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এখানে বিদ্যুৎ যে কখন আসে এবং কখন যায় তা কেউ বলেতে পারে না। এখন অনেকে বলছেন, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসে ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র চার্জ দেয়ার জন্য। কিন্তু গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল কম আসে না, বরং আগের চেয়ে বেশি আসে।
স্থানীয়রা জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিনে-রাতে ২৫ থেকে ২৭ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। তাও আবার ২০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকলে পরবর্তী ২/৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এমনকি কখনো যদি ২০ মিনিটের বেশী বিদ্যুৎ থাকে তাহলে এর বিপরিতে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুতের আর দেখা পাওয়া যায় না। ফলে দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ শুন্যতায় থাকতে হয় জকিগঞ্জবাসীকে। জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গত এক মাস ধরে জকিগঞ্জ বাজার, পৌর এলাকা, কালিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ক’টি বাজার ও প্রত্যান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ভোগান্তি লেগেই আছে। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরাও ক্ষতির মুখে পরে ক্ষুব্ধ। এছাড়াও অব্যাহত লোডশেডিং এর কারণে উপজেলার অনেক বিদ্যুৎ নির্ভর দোকান এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। জকিগঞ্জ থেকে প্রচারিত ৫/৬টি অনলাইন পত্রিকা বিদ্যুতের অভাবে সংবাদ প্রচার করতে পারছেনা। ফলে অনেক সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, জকিগঞ্জ সার্কেল অফিস, জকিগঞ্জ থানা, জকিগঞ্জ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কাজ বিদ্যুতের কারণে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এনিয়ে একাধিকবার মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত দোকানগুলোতে দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সারাদিনে গড়ে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। তবে প্রতিটি মার্কেটে জেনারেটর থাকলেও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে মাঝে মধ্যে বাধ্য হয়েই জেনারেটর বন্ধ রাখতে হয়। ফলে মার্কেটগুলোতে এ সময় প্রচন্ড গরম এবং অন্ধকার থাকে। ক্রেতারা প্রচন্ড ঘরম আর অন্ধকারের ভিতরে বিপনী বিতানগুলোতে প্রবেশ করেত চায় না। তাই বেচা-কিনাও খুব কম হচ্ছে। এ অবস্থায় দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন এবং দোকান মালিকদের জীবন-যাপন খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর (ক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব মিছবাহ জানান, গত কয়েকমাস ধরে আমাদের এলাকায় লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। দিনে-রাতে মিলিয়ে ২৫ থেকে ২৭ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ একবার গেলে আসছে দুই ঘণ্টা পর। আবার ২৫ মিনিট থেকেই চলে যাচ্ছে।
উপজেলার দরগাবাহারপুর গ্রামের গৃহিনী হোসনা বেগম জহুরা বলেন, লোডশেডিংয়ের কোন সময়সীমা নেই। সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। আবার রাতের বেলা আসলে এক ঘন্টা থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এ কারণে ঘরের ফ্রিজ ও মোটর সহ ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবহার করা যায়না।
উপজেলার কাজলসার ইউপি সদস্য মাওলানা কফিলুজ্জামান কফিল বলেন, লোডশেডিং তো আছেই, তার মধ্যে সামান্য ঝড় বা বৃষ্টি হলে আমাদের এলাকায় একটানা ৪/৫দিন বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুৎ বিভাগের এহেন খামখেয়ালীর কারণে সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোব্ধ। যে কোন সময় মানুষ এদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠতে পারে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় বলেন, বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নিজের অফিসিয়াল কাজকর্ম করা যাচ্ছেনা। ফোন দিয়েও ডিজিএমকে পাওয়ায় যায়না। ডিজিএম অনেকটা দায়সারা মনে হচ্ছে। তিনি আইন শৃংখলা অবনতির আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আচরণে সাধারণ মানুষ যে কোন সময় বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠতে পারে। এনিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নিজের বাসায় এখন বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে আমার নিকট ফোন আসছে। আমি কাউকে কোন সদোত্তর দিতে পারছিনা। তিনি এনিয়ে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
বিদ্যুতের এমন অসহনীয় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম সনৎ কুমার ঘোষ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। ঝড় বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে লাইনে সমস্যা হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাচ্ছেনা। পুরোদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার পরও সন্ধ্যা পরে এক ঘন্টার ভিতর ৮/১০ বার কেন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে এমন প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, এটা আমরা করিনি। এটা চারখাই থেকে করা হচ্ছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !