ইতিহাসের সোনালী দাস্তান আর হাজার স্মৃতির ঝাপি নিয়ে মেলা বসছে জকিগঞ্জে।
অবিস্মরনীয় এক মহামিলন। অদৃশ্য এক শিহরণে কাঁপছে এখন সমগ্র জকিগঞ্জ উপজেলা।
দুই দিনের এ সম্মেলনের জন্যে এক দিকে বিশাল প্রস্তুতি, অন্য দিকে চলছে
অপেক্ষার পলকহীন দৃষ্টি। একটি একটি করে একশ'টি বছর পাড়ি দেয়ার গল্প নিয়ে
জমবে "ফ্ল্যাশ ব্যাক হান্ড্রেড"র বিশাল এই আন্তর্জাতিক ।
আজ থেকে একশ' বছর আগের মানুষেরা কেমন ছিলো? কেমন ছিলো তাদের যাপিত জীবন!
বৃটিশের স্টীম রোলারে কিভাবে কাটতো তাদের দিন-রাতগুলো।- তা এখন দূরের
ইতিহাস। ঝাপসা স্মৃতি। তাদের কাজ, ইতিহাস এমনকি তাদের নামও আজ জানা নেই
কারো। তাদের ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক শত কর্মকান্ড ও সফলতার
খবরাদী এখনকার বংশধরদের কাছে কিছুই নেই ।
কিন্তু, বিস্মৃত সব পূর্বসুরীদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি আজও স্মরনীয় হয়ে আছেন। কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। তারা সমাজের গুরুত্ত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না হয়তো ঐ সময়। কিন্তু আজ তারা ইমপোর্টেন্ট। কারণ, "আজি হতে শত বর্ষ আগে" ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও তারা প্রয়োজন বোধ করেছিলেন অন্য কিছুর। দ্বীন ও সমাজের জন্য একটি বাগান তৈরী করার । কোন এক রোদেলা সকালে কিংবা নিরব সন্ধ্যায়, সময়ের ফিকিরমন্দ কিছু লোক গোল হয়ে বসেছিলেন কারো ছাপড়ার বৈঠক ঘরে। আগন্তুক প্রজন্মকে সুপথ চেনাতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একটি বাতিঘর নির্মানের। কাঠখড়ি পুড়িয়ে এক দিন তা গড়ে তুলেছিলেন। সেই লাইট হাউসের নাম রেখেছিলেন জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দী।
তারা কি জানতেন, তাদের জ্বালানো বাতি একশ' বছর পরও আলো দেবে। এ আলো আরো উজ্জল হবে? সে আলোয় ভাসবে শতবর্ষ পরের আধুনিক জনপদ! ডিজিটাল যুগ!
আলো বিকিরণ ব্যবস্থাপনার "কী বোর্ড" পরিচালনায় জীবন বিনিয়োগ করেছেন আমাদের অনেক আকাবির। এই সেদিন হারালাম আমরা ইলমী এ বিদ্যাপীঠের অর্ধ-শতাব্দীর সঞ্চালক হযরত শায়খে হাড়িকান্দীকে। সরব শায়খ আজ নিরবেই ঘুমিয়ে আছেন তাঁর পঞ্চাশ বছরের ঘাম মেশানো জামেয়ার মাটিতে।
১৪ ও ১৫ জানুয়ারীর শত বার্ষিক আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে লক্ষ জনতাকে বরণ করতে অপেক্ষমান জকিগঞ্জবাসী। মুবারক এ মাহফিল কামিয়াব হোক। কিয়ামত তক আলোর তরঙ্গ ছড়াক শতাব্দী পার হওয়া এই লাইট হাউস।
মাওলানা মনজুরে মাওলা, প্রিন্সিপাল, দারুল আজহার মডেল মাদরাসা সিলেট।
কিন্তু, বিস্মৃত সব পূর্বসুরীদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি আজও স্মরনীয় হয়ে আছেন। কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। তারা সমাজের গুরুত্ত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না হয়তো ঐ সময়। কিন্তু আজ তারা ইমপোর্টেন্ট। কারণ, "আজি হতে শত বর্ষ আগে" ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও তারা প্রয়োজন বোধ করেছিলেন অন্য কিছুর। দ্বীন ও সমাজের জন্য একটি বাগান তৈরী করার । কোন এক রোদেলা সকালে কিংবা নিরব সন্ধ্যায়, সময়ের ফিকিরমন্দ কিছু লোক গোল হয়ে বসেছিলেন কারো ছাপড়ার বৈঠক ঘরে। আগন্তুক প্রজন্মকে সুপথ চেনাতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একটি বাতিঘর নির্মানের। কাঠখড়ি পুড়িয়ে এক দিন তা গড়ে তুলেছিলেন। সেই লাইট হাউসের নাম রেখেছিলেন জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দী।
তারা কি জানতেন, তাদের জ্বালানো বাতি একশ' বছর পরও আলো দেবে। এ আলো আরো উজ্জল হবে? সে আলোয় ভাসবে শতবর্ষ পরের আধুনিক জনপদ! ডিজিটাল যুগ!
আলো বিকিরণ ব্যবস্থাপনার "কী বোর্ড" পরিচালনায় জীবন বিনিয়োগ করেছেন আমাদের অনেক আকাবির। এই সেদিন হারালাম আমরা ইলমী এ বিদ্যাপীঠের অর্ধ-শতাব্দীর সঞ্চালক হযরত শায়খে হাড়িকান্দীকে। সরব শায়খ আজ নিরবেই ঘুমিয়ে আছেন তাঁর পঞ্চাশ বছরের ঘাম মেশানো জামেয়ার মাটিতে।
১৪ ও ১৫ জানুয়ারীর শত বার্ষিক আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে লক্ষ জনতাকে বরণ করতে অপেক্ষমান জকিগঞ্জবাসী। মুবারক এ মাহফিল কামিয়াব হোক। কিয়ামত তক আলোর তরঙ্গ ছড়াক শতাব্দী পার হওয়া এই লাইট হাউস।
মাওলানা মনজুরে মাওলা, প্রিন্সিপাল, দারুল আজহার মডেল মাদরাসা সিলেট।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !