স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার ৬ বছরেও ভবন উদ্বোধন, লোকবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার নতুন ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ভবন উদ্বোধনের কার্যক্রম আটকে আছে। ভবনটি নির্মাণের সময় নিম্ম মানের ইট, বালু পাথর, সিমেন্টের পরিমাণ কম, রড ও ঢালাইর পুরোত্বে ফাঁকির ফলে ছাদের স্থানে স্থানে দেবে যাওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজের দাবী, জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে প্রতিনিয়ত তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সিডিউলের বাইরে হাসপাতাল রাস্তাটি তারা মেরামত করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১২ সালের আগস্ট মাসে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৩ টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও তা দীর্ঘ ছয় বছরে সম্পন্ন হয়। ভবনটি নির্মাণের সময় কাজের প্রাক্কলন ও নকশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীসহ কাউকে সরবরাহ না করে লুকোচুরি করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব নানা অভিযোগের ফাঁদে আটকে আছে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা ভবনের উদ্বোধনের কাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের বর্ধিতকরণ কাজের মধ্যে ছিলো আড়াইতলার ১৯ শয্যার একটি ভবন, চিকিৎসকদের আবাসিক ভবন, বহি:বিভাগ সুবিধা, পরীক্ষাগার, পোস্ট অপারেটিভ থিয়েটার, কেবিন, নার্সদের বসার স্থান, গাড়ীর গ্যারেজ নির্মাণ ও রাস্তা। তন্মধ্যে প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন হলেও নতুন ভবনের বড় বড় ফাটা সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। ভবনের ছাদ খানে খানে দেবে যাওয়ায় বৃষ্টির সময় ছাদ ছুপসে পানি পড়ে। ভবনটি উদ্বোধনের আগেই এমন অবস্থার সৃষ্ঠি হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই।
অপরদিকে ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি। বাড়ানো হয়নি সুযোগ-সুবিধা। এমনকি চিকিৎসক ও নার্স সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বর্তমান ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক-নার্স সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। এলাকাবাসী, রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগী আসে। ভর্তি থাকে ৪০ জনের বেশি। শয্যাসংকটের কারণে বাধ্য হয়ে রোগীদের হাসপাতালের ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে আশ্রয় নিতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের মঞ্জুরিকৃত ২৮টি পদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে। তন্মধ্যে ৮ জন ডাক্তারের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন, ১২ জন নার্সের মধ্যে ৬ জন, পরিচ্ছন্ন কর্মী ৫ জনের মধ্যে ৩ জন, ল্যাব ট্যাকনিশিয়ান পদটিতে কেউ নেই, দন্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শুন্য। এছাড়া এক্সে মিশিন চলছে জোড়া তালি দিয়ে।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ আহমদ জানান, প্রতিদিন রোগী থাকেন ৪৫ থেকে ৫০ জন। অথচ হাসপাতালটি এখনো ৩১ শয্যায় রয়েছে। জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় শয্যার অভাবে তাদের স্থান দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। জেলা সদর থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা হওয়ায় রোগীর চাপ থাকে বেশি। আউটডোরে প্রতদিন প্রায় তিন শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। কিন্তু থাকে না পর্যাপ্ত ওষুধ। চার বছর ধরে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইন ঝুঁকিপূর্ণ। খুঁটি ভেঙে যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মেহদী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে বলতে আমরা ক্লান্ত। ৫০ শয্যা তো দূরের কথা ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্য যে লোকবল দরকার, তার ৫০ শতাংশই নেই। এই সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
জকিগঞ্জে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার ৬ বছরেও ভবন উদ্বোধন, লোকবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার নতুন ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ভবন উদ্বোধনের কার্যক্রম আটকে আছে। ভবনটি নির্মাণের সময় নিম্ম মানের ইট, বালু পাথর, সিমেন্টের পরিমাণ কম, রড ও ঢালাইর পুরোত্বে ফাঁকির ফলে ছাদের স্থানে স্থানে দেবে যাওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজের দাবী, জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে প্রতিনিয়ত তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সিডিউলের বাইরে হাসপাতাল রাস্তাটি তারা মেরামত করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১২ সালের আগস্ট মাসে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৩ টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও তা দীর্ঘ ছয় বছরে সম্পন্ন হয়। ভবনটি নির্মাণের সময় কাজের প্রাক্কলন ও নকশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীসহ কাউকে সরবরাহ না করে লুকোচুরি করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব নানা অভিযোগের ফাঁদে আটকে আছে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা ভবনের উদ্বোধনের কাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের বর্ধিতকরণ কাজের মধ্যে ছিলো আড়াইতলার ১৯ শয্যার একটি ভবন, চিকিৎসকদের আবাসিক ভবন, বহি:বিভাগ সুবিধা, পরীক্ষাগার, পোস্ট অপারেটিভ থিয়েটার, কেবিন, নার্সদের বসার স্থান, গাড়ীর গ্যারেজ নির্মাণ ও রাস্তা। তন্মধ্যে প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন হলেও নতুন ভবনের বড় বড় ফাটা সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। ভবনের ছাদ খানে খানে দেবে যাওয়ায় বৃষ্টির সময় ছাদ ছুপসে পানি পড়ে। ভবনটি উদ্বোধনের আগেই এমন অবস্থার সৃষ্ঠি হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই।
অপরদিকে ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি। বাড়ানো হয়নি সুযোগ-সুবিধা। এমনকি চিকিৎসক ও নার্স সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বর্তমান ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক-নার্স সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। এলাকাবাসী, রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগী আসে। ভর্তি থাকে ৪০ জনের বেশি। শয্যাসংকটের কারণে বাধ্য হয়ে রোগীদের হাসপাতালের ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে আশ্রয় নিতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের মঞ্জুরিকৃত ২৮টি পদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে। তন্মধ্যে ৮ জন ডাক্তারের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন, ১২ জন নার্সের মধ্যে ৬ জন, পরিচ্ছন্ন কর্মী ৫ জনের মধ্যে ৩ জন, ল্যাব ট্যাকনিশিয়ান পদটিতে কেউ নেই, দন্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শুন্য। এছাড়া এক্সে মিশিন চলছে জোড়া তালি দিয়ে।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ আহমদ জানান, প্রতিদিন রোগী থাকেন ৪৫ থেকে ৫০ জন। অথচ হাসপাতালটি এখনো ৩১ শয্যায় রয়েছে। জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় শয্যার অভাবে তাদের স্থান দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। জেলা সদর থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা হওয়ায় রোগীর চাপ থাকে বেশি। আউটডোরে প্রতদিন প্রায় তিন শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। কিন্তু থাকে না পর্যাপ্ত ওষুধ। চার বছর ধরে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইন ঝুঁকিপূর্ণ। খুঁটি ভেঙে যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মেহদী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে বলতে আমরা ক্লান্ত। ৫০ শয্যা তো দূরের কথা ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্য যে লোকবল দরকার, তার ৫০ শতাংশই নেই। এই সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !