স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের ছালেহপুর গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে কলেজ ছাত্র সাইফুল আলমের হত্যার দায় স্বীকার করেছেন পুলিশের হাতে আটক নিহত সাইফুলের বাড়ির পাশে ঘরের আব্দুল গণির ছেলে এনাম আহমদ (৪৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত সাইফুলের জানাযা শেষে সন্দেহজনক হিসেবে পুলিশের হাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে এনাম জানায়, প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের নালায় বসানো ডরি (মাছ ধরার যন্ত্র) তুলে মাছ না পেয়ে তার সন্দেহ হয়। তাই ঘটনার দিন শনিবার সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কেউ তার ডরি (মাছ ধরার যন্ত্র) তুলে কিনা তা দেখার জন্য ওৎপেত বসে। এ সময় তার বাড়ির সাইফুলকে ডরি (মাছ ধরার যন্ত্র) তুলতে দেখে উত্তেজিত হয়ে তাকে গিয়ে ধরলে উভয়ের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে এনাম রাগান্বিত হয়ে সাইফুলের অন্ডকোষে ধরে ধাক্কা দিয়ে নালার পাশে কাঁদা মাটিতে উপুড় করে ফেলে মাথায় চাঁপ দেন। এ সময় সাইফুলের নাক-মুখ কাঁদায় ভিতর ঢুকে গেলে সে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তাকে কাঁদা মাটি দিয়ে ঘুরে এনাম চলে যায়। এভাবেই কলেজ ছাত্র সাইফুল হত্যার বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করে ঘাতক এনাম।
এদিকে সাইফুলকে কাঁদামাটি দিয়ে চাঁপা দেয়ার সময় সুপারি খুজতে আসেন একই বাড়ির ময়নুল হকের পুত্র স্কুল ছাত্র রেজাউল হক। সে তখন বিষয়টি বুঝতে না পারলেও ঘাতক এনাম বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। সহজ সরল স্বভাবের কিশোর রেজাউল কি ঘটনা তা না বুঝেই বাড়িতে চলে যায়। সোমবার ঐ নালা থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হলে সে নিশ্চিত হয় এনাম তাকে খুন করেছে। কিন্তু এনাম বিষয়টি আচ করতে পেরে তাকে না বলার জন্য বার বার হুমকি দিতে শুরু করে। উপায়ান্তর হয়ে রেজাউল বিষয়টি তার মাকে জানালে তার মা নিজ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপুকে জানান। তিনি বিষয়টি পুলিশের নিকট জানালে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাইফুলের জানাযা শেষে জকিগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এনামকে আটক করেন।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার সকালে কলেজ ছাত্র সাইফুল আলম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের নালা থেকে দুর্গন্ধ আসলে স্থানীয় লোকজন সেখানে কাঁদামাটি চাঁপা সাইফুলের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !