জকিগঞ্জ উপজেলার রতনগঞ্জ বাজারে একটি সালিশ বৈঠক শেষে এক পক্ষের অতর্কিত হামলার ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাতে গোটারগ্রাম ও মনসুরপুর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গুরুতর আহত গোটারগ্রামের ইমরান হোসেন সুমন (২৪), কামরান হোসেন মামন (২৮), কাজলসার গ্রামের আব্দুস সবুর (৪৫), পলাশপুর গ্রামের তারেক আহমদ (২২), মনসুরপুর গ্রামের এমাদ আহমদ (৩০) ও বলন আহমদ (৩৫)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আহত কাজলসার ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রোশনা বেগম রফা (৪৫), লুৎফুর রহমান (৫০), পশ্চিম গোটারগ্রামের রিফু বিশ্বাস (৩৫), মনসুরপুর গ্রামের খনই মিয়া (৬৫) ও ইসলাম উদ্দিন ((৪০) সহ আরো ৪/৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জনান, জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রোশনা বেগম রফা সাথে মনসুরপুর গ্রামের টেলাচালক হারুন মিয়া একটি সালিশ বৈঠক নিয়ে কথা কাটাকাটি করে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এ সময় ইউপি সদস্য রুশনা বেগম রফার ছেলে ইমরান হোসেন মামন হারুন মিয়াকে মারধর করলে রতনগঞ্জ বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে তা আপোষ নিষ্পত্তি করে দেন। আপোষ নিষ্পত্তি শেষে ফেরার পথে আকষ্মিকভাবে ইউপি সদস্য রোশনা বেগম রফার ছেলের উপর অপর পক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা চালালে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কাজলসার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্কর ও মানিকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন চৌধুরী আপোষ নিষ্পত্তির চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে কাজলসার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্কর বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে বিচারের জন্য আমানত রাখার জন্য সময় দিয়েছে। আশা করছি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হবে।
Home »
» জকিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত-১৫
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !