স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের ৯৩টি পূজা মন্ডপে মঙ্গলবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। আগামী শনিবার বিজয়া দশমী পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মুখরিত থাকবে পুজামন্ডপগুলো। শারদীয় দূর্গোৎসবে আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য পূজা মন্ডপগুলোর জন্য নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পুজা শুরুর আগের দিন সোমবার পুলিশ প্রশাসেনের কর্মকর্তারা উপজেলাধীন বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে সার্বিক করনীয় সম্পর্কে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেন। এ সময় সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আবুল হাসনাত খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সার্কেল) মোস্তাক সরকার ও জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক টিম থাকবে। সিলেট জেলার সবকটি উপজেলার চাইতে সর্বোচ্চ পূজা মন্ডপ জকিগঞ্জে। জকিগঞ্জের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯৩ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৯১টি মন্ডপকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা পূজা পরিষদ। এরমধ্যে অধিক ঝূঁকিপূর্ণ ১০টি, মোটামুটি ঝূঁকিপূর্ণ ৫৩টি ও সাধারণ ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে ২৮টি মন্ডপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ঝূঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলোর প্রতি থাকবে কড়া নজরদারি। যেকোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সার্বক্ষণিক কঠোর অবস্থানে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় বিশ্বাস শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, শারদীয় দূর্গোৎসব যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। শালীনতার মধ্য দিয়ে শাস্ত্র মতে পূজা উদযাপনে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল পূজা মন্ডপে পুলিশ ও আনসারের পাশাপশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও বেজ ধারণ করে রাতে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোন মন্ডপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে পুজারী ও ভক্তরা শামিল হবেন পৃথিবীর সব আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় ও মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার প্রার্থণায়।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !