স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহমদুর রহমান মায়নের বিরুদ্ধে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচী ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দু’টি অভিযোগ দিয়েছেন ঘেচুয়া গ্রামের শরিফ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান ও তুতা মিয়া। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের ঘেচুয়া গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার বাড়ির উত্তর-পশ্চিম মুখী হয়ে পূর্ব দিকের রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের জন্য কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মাহমদুর রহমান মায়ন উক্ত টাকা উত্তোলন করে কোন কাজ না করে প্রকল্প কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আত্মসাত করেন। অন্যদিকে ভিজিডি কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা ও ১০টাকা দামের চাউলের কার্ডসহ অন্যান্য সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য মাহমদুর রহমান মায়নের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কাজী জয়নাল আবেদীনকে নির্দেশ দিলে সমবায় অফিসার গত ১৬ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষকে কাগজপত্র ও প্রমানাদী নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু তদন্তকালে সমবায় কর্মকর্তা সরেজমিন উপস্থিত না হয়ে এক পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। এনিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার কাজী জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করা হয়। এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য মাহমদুর রহমান মায়ন বলেন, আমি প্রকল্পের কাজটি সঠিক ভাবে বাস্তবাযন করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজ দেখে আমাকে বিল দিয়েছেন। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও তদন্ত অফিসার কাজী জয়নাল আবেদীন জানান, সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাজের প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সময়ের ভিতরে রিপোর্ট জমা দিব। ভিজিডিসহ অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত নিরাপত্তাজনিত কারনে ইউএনও স্যারের পরামর্শে স্থগিত রেখেছি।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !