কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল
সেই হারিয়ে যাওয়া ছোট বেলার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে মনে পড়ে আমার ছোটবেলার ঈদের খুশির কথা। আসন্ন ঈদ আমাকে মনে করিয়ে দিল সেই সহপাঠি বন্ধুদের কথা। যারা হলো শামীম, জাহেদ, রুহেল, মুরাদ, এহিয়া ও আরো অনেকে। সব জিনিসেরই একটি সীমারেখা আছে। আনন্দ করারও সীমা থাকতে হয়। আমাদের আনন্দটা সীমা ছাড়িয়ে যেত। ঈদের আগের রাতে কার বাড়ি খাওয়ার কি ফল আছে তা একটা লিস্ট করে সবাই মিলে চুরি করতে যাওয়া। হ্যাঁ, তবে শর্ত হলো চোর ধরা পড়লে কেউ যেন তাকে ফেলে না আসে। চুরিটা কিন্তু নিজের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে হতো। কারণ সেই জ্ঞান আমাদের ছিল অন্য কারো বাড়িতে ধরা পড়লে মারপিঠ খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই নিজের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেই চুরি করতে যেতাম। আম, কাঁঠাল, জামবুরা, বরই, আনারস, আখ, নারিকেল যে ঈদে যেটা পাওয়া যায়। আর চুরিতে ধরা পড়লে দৌড় ঝাঁপ নয়, পরিচয় দেয়া। কারণ পরিচয় পেলে মারপিঠ খাওয়া থেকে অন্তত বাঁচা যাবে। কারণ চুরি হওয়া বাড়িটা হলো কারো চাচার বাড়ি, কারো নানা বাড়ি, নয়তো কারো ফুফুর বাড়ি। এই গেল ঈদের আগের রাতের চুরির পর্ব। ঈদের দিন ভোরে উলির ঘর পুড়াতাম। সবাই মিলে ঈদের আগের দিন বাঁশ ও কিছু কাঁঠের লাকড়ি দিয়ে বানানো হতো উলির ঘর। ঈদের দিন ফজরের আজানের আগে অর্থাৎ রাত ৪টা বা ৫টার দিকে গোসল করে পুড়ানো হতো সেই উলির ঘর। তাতে কি যে আনন্দ পোহাতাম, কত হইহুল্লোড় আর যে কত নাচ- সে আনন্দ কি আজকালকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়? না বললেই চলে। যাই হোক ঈদের দিন সকালে আমরা সবাই নতুন জামা কাপড় পরে মুরব্বীদের সালাম করতাম। তারপর মিষ্টি সন্দেশ, ফিরনি, পোলাও, শেমাই ইত্যাদি খেতাম। গ্রামের প্রায় সবাই একে অন্যের আত্মীয়। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুরব্বীদের সালাম করতাম। তারপর সবাই মিলে ঈদগাহে যেতাম। ঈদের নামাজ পড়ে একে অন্যকে হাত ও বুক মিলায়ে কোলাকুলি করতাম। তাতে কত যে আনন্দ তা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ঈদের সমস্ত দিন বাড়ি বাড়ি ঘোরা ও মিষ্টি সন্দেশ খেয়েই সন্ধ্যা হয়ে যেত। সে আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরে যেতাম। আনন্দের স্মৃতিচারণ করতে করতে আজকালের ছেলে মেয়েদের মধ্যে ফিরে আসুক সে রকম আনন্দ। ঈদ হোক সকলের জন্য আনন্দমুখর।
লেখক: কুবাদ বখত্ চৌধুরী রুবেল, কবি ও কলামিষ্ট, গ্রাম: গণিপুর (পুরান বাড়ি) জকিগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল-০১৯২৬১৪৯২৬৯
সেই হারিয়ে যাওয়া ছোট বেলার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে মনে পড়ে আমার ছোটবেলার ঈদের খুশির কথা। আসন্ন ঈদ আমাকে মনে করিয়ে দিল সেই সহপাঠি বন্ধুদের কথা। যারা হলো শামীম, জাহেদ, রুহেল, মুরাদ, এহিয়া ও আরো অনেকে। সব জিনিসেরই একটি সীমারেখা আছে। আনন্দ করারও সীমা থাকতে হয়। আমাদের আনন্দটা সীমা ছাড়িয়ে যেত। ঈদের আগের রাতে কার বাড়ি খাওয়ার কি ফল আছে তা একটা লিস্ট করে সবাই মিলে চুরি করতে যাওয়া। হ্যাঁ, তবে শর্ত হলো চোর ধরা পড়লে কেউ যেন তাকে ফেলে না আসে। চুরিটা কিন্তু নিজের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে হতো। কারণ সেই জ্ঞান আমাদের ছিল অন্য কারো বাড়িতে ধরা পড়লে মারপিঠ খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই নিজের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেই চুরি করতে যেতাম। আম, কাঁঠাল, জামবুরা, বরই, আনারস, আখ, নারিকেল যে ঈদে যেটা পাওয়া যায়। আর চুরিতে ধরা পড়লে দৌড় ঝাঁপ নয়, পরিচয় দেয়া। কারণ পরিচয় পেলে মারপিঠ খাওয়া থেকে অন্তত বাঁচা যাবে। কারণ চুরি হওয়া বাড়িটা হলো কারো চাচার বাড়ি, কারো নানা বাড়ি, নয়তো কারো ফুফুর বাড়ি। এই গেল ঈদের আগের রাতের চুরির পর্ব। ঈদের দিন ভোরে উলির ঘর পুড়াতাম। সবাই মিলে ঈদের আগের দিন বাঁশ ও কিছু কাঁঠের লাকড়ি দিয়ে বানানো হতো উলির ঘর। ঈদের দিন ফজরের আজানের আগে অর্থাৎ রাত ৪টা বা ৫টার দিকে গোসল করে পুড়ানো হতো সেই উলির ঘর। তাতে কি যে আনন্দ পোহাতাম, কত হইহুল্লোড় আর যে কত নাচ- সে আনন্দ কি আজকালকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়? না বললেই চলে। যাই হোক ঈদের দিন সকালে আমরা সবাই নতুন জামা কাপড় পরে মুরব্বীদের সালাম করতাম। তারপর মিষ্টি সন্দেশ, ফিরনি, পোলাও, শেমাই ইত্যাদি খেতাম। গ্রামের প্রায় সবাই একে অন্যের আত্মীয়। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুরব্বীদের সালাম করতাম। তারপর সবাই মিলে ঈদগাহে যেতাম। ঈদের নামাজ পড়ে একে অন্যকে হাত ও বুক মিলায়ে কোলাকুলি করতাম। তাতে কত যে আনন্দ তা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ঈদের সমস্ত দিন বাড়ি বাড়ি ঘোরা ও মিষ্টি সন্দেশ খেয়েই সন্ধ্যা হয়ে যেত। সে আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরে যেতাম। আনন্দের স্মৃতিচারণ করতে করতে আজকালের ছেলে মেয়েদের মধ্যে ফিরে আসুক সে রকম আনন্দ। ঈদ হোক সকলের জন্য আনন্দমুখর।
লেখক: কুবাদ বখত্ চৌধুরী রুবেল, কবি ও কলামিষ্ট, গ্রাম: গণিপুর (পুরান বাড়ি) জকিগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল-০১৯২৬১৪৯২৬৯
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !