স্টাফ রিপোর্টার
তফসিল ঘোষণা হয়নি এখনো। তবে সময় ঘনিয়ে আসা আর নির্বাচন কমিশনের আভাসের প্রেক্ষিতে জকিগঞ্জ উপজেলায় বইছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীদের দৌড়ঝাঁপও শুরু হয়ে গেছে। তাদের তৎপরতা রীতিমতো চোঁখে পড়ার মতো। ঈদ শুভেচ্ছার নামে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। কেউ কেউ প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় ছবিসহ বিজ্ঞাপন দিয়েও ভোটারদের ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন প্রবাসী ও তরুণ নতুন প্রার্থীরা। বিশেষ করে সম্ভাব্য নতুন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পবিত্র ঈদুল আজহায় অনেকেই বাড়িতে আসায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তোরায় এ প্রচারণা জমে উঠেছে। নিজেদের কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাংখিদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ঘরোয়া বৈঠক, চায়ের আড্ডা ও মতবিনিময়। প্রবাসে থাকা প্রার্থীদের সমর্থকরাও কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। নিজেদের পছন্দের প্রবাসী প্রার্থীদের অনুমতি নিয়ে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন এলাকায় লাগাচ্ছেন। যদিও পোষ্টার ও মতবিনিময় সভার ভাষা সরাসরি প্রচারণার মত নয়। পোস্টার ব্যানার দেখে প্রার্থীদের প্রচারণা বিষয়টি মনে হয় না সরাসরি। তবে অনুসারিরাই বলছে ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অমুক ভাইকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। যদিও তফসিল ঘোষণার আগে এসব তৎপরতাকে অনেকে-ই ভালো চোঁখে দেখছেন না। তবুও প্রার্থীদের ধারণা আগামী বছরের শুরুতেই ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের নির্বাচন দিবে নির্বাচন কমিশন। তাই এ সময় সীমাকে নিয়ে সামনে রেখে প্রার্থীরা তাদের তৎপরতা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীদের কদর সময়ে সময়ে বাড়ছে। প্রতিটি গ্রামে নিজেদের কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে নীরবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। প্রসঙ্গে ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতিকুর রহমান মনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। কেননা নতুন প্রার্থী হিসেবে একটু বেশী প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সৌদী আরব প্রবাসী সোলেমান আহমদ লস্কর বলেন, আমি প্রবাসে থাকলেও সর্বদা মন থাকে নিজের দেশে ও এলাকায়। দেশে গেলে এলাকায় সামর্থ অনুযায়ী ভালো কাজ করার চেষ্ঠা করি। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমার ইউনিয়নের লোকজন আগামী নির্বাচনে আমাকে প্রার্থী করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আমার নামে পোস্টার ছাপিয়ে ইউনিয়নের সর্বত্র লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের এ চাওয়া ও এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি সামনে রেখে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসার চিন্তা রয়েছে। তবে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহম্মেদ জকিগঞ্জ সংবাদকে জানান, খুব শিগগিরই ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন দেয়া হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেসব বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা চলছে তা শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হবে। সে জন্য কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !