স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জে প্রচন্ড গরমে অস্তির হয়ে উঠেছেন প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ। একটুকু স্বস্তির আশায় দিকবিদিক ছুটছে মানুষ। দিন-রাত শুধুই ঘাম ঝরছে। পানির তৃষ্ণা যেন কিছুতেই মিটছে না। ঘামে ভিজে শিশুরা অসুস্থ’ হয়ে পড়েছে। হিটস্ট্রোক ও তাপদাহজনিত ডায়রিয়া এবং আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও। জকিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দুপুরের তপ্ত বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। এর সঙ্গে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে অসহনীয় লোডশেডিং। কোন কারন না জানিয়ে জকিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ উধাও হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন, জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় সামান্য লোডশেডিংয়ের পর বিদ্যুৎ চলে আসলেও উপজেলার বাকি অংশকে শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম, ইঞ্জিনিয়ার ও অভিযোগ কেন্দ্রের ফোন নাম্বারের ফোন দিলে প্রথম দিকে সব সময় ব্যস্ত দেখালেও শেষ দিকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে মানুষ বিদ্যুৎ না থাকার কারন জানতে না পারায় বিদ্যুৎ উধাও হয়ে গেছে বলে একে অপরকে বলতে শুরু করেন। জানা যায়, জকিগঞ্জে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন। গরমে মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীকুলও দিশেহারা। রোদে বেরিয়ে বা বাসায় বসেও লোডশেডিংয়ের কারণে ঘেমে অস্থির হয়ে উঠছে মানুষ। চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। যানবাহনে থাকা মানুষকে দরদর করে ঘামতে দেখা গেছে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ গরমের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন। দেখে মনে হয়েছে ভাদ্র মাসের তালপাকা গরম। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বাতাসে আর্দ্রতা অনেক বেশি হওয়ায় গরমের অনুভূতি অনেক বেশি। তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকলে গরমের অনুভূতি কিছুটা কম হতো।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !