স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের শোক সভা চলাকালে গতকাল ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা কামিল আহমদ'র উপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের ফজলুল করিমের পুত্র কামিল আহমদ। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার কেছরী গ্রামের আব্দুল জব্বারের পূত্র সাদ্দাম হোসেন (২৪) ও উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মস্তাক আহমদের পূত্র কামাল আহমদ (২৮)কে। এছাড়া লিখিত অভিযোগে তিনি অজ্ঞাত ২/৩জন ব্যক্তিকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রত্যক্ষদশীরা জানান, কামিল আহমদ উপজেলা শ্রমিকলীগের শোক সভার শেষ দিকে মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে সভার প্রধান অতিথি সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য শুনছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবেপূর্ব বিরোধের জের ধরে সাদ্দাম হোসেন সেখানে এসে হাতে থাকা ছাতা দিয়ে তার উপর আক্রমণ করেন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করলে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এতে কামিল আহমদ মৃদু আক্রান্ত হন। তবে কামিল আহমদ তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ইছামতি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ এম.এ.হক চত্বরে উপজেলা শ্রমিকলীগের শোক সভায় অংশ নেন। শোক সভার শেষ দিকে তিনি মোবাইল ফোন দিয়ে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্যের ছবি সংগ্রহ করার সময় বিবাদী সাদ্দাম হোসেন তার শার্টের ভিতর থেকে একটি লোহার রড বের করে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করে আক্রমণ করে। তখন আঘাতটি লক্ষ ভ্রষ্ট হয়ে তাঁর ডান হাতের কুনই’র নীচে পড়ে কাঠা রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে স্বাক্ষীগণ তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার ওসি সফিকুর রহমান খাঁন জানান, তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে আপোষ নিষ্পত্তির চেষ্ঠা চলছে। আপোষ নিষ্পত্তি না হলে মামলা রেকর্ড করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !