স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের জামুরাইল গ্রামের আব্দুল করিমের (হারু মিয়া) টগবগে ছেলে মাওলানা বদরুল ইসলাম (৪২)। ১৯৯৮ সালে ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করে বেশ কয়েক বছর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও মসজিদে ইমামতি করেন। মা-বাবা, তিন ভাই, পাঁচ বোন, স্ত্রী ও চার সন্তানের পরিবার তখন অনেকটা টানাপোড়নের মধ্যে চলছিল। তাই সোনালী ভবিষ্যতের আশায় প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন আবুদাবীতে। বৈধভাবে প্রায় তিন বছর সেখানে রুজি-রোজগার করে দুই বছর পূর্বে বাড়িতে এসেছিলেন মাওলানা বদরুল ইসলাম। তখন তার পরিবারে অনেকটা আশার আলো জেগে উঠেছিল। ভালোই চলছিল তাদের এ বিশাল পরিবার। কিন্তু নির্মম নিয়তি ছুটি কাটিয়ে পুনরায় আবুদাবীতে ফিরে গেলে অবৈধ হয়ে পড়েন মাওলানা বদরুল ইসলাম। এনিয়ে তিনি চরম দুঃশ্চিন্তায় থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে রুজি-রোজগার করে টাকা দিতেন বাড়িতে। এভাবে প্রায় দুই বছর যাওয়ার পর চলতি জুন মাসের প্রথম দিকে হঠাৎ ব্রেইন স্টোক করেন মাওলানা বদরুল ইসলাম। তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ১৪ জুন রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি.....রাজিউন)। মৃত্যুর এক সাপ্তাহ পর গতকাল ২১ জুন রোববার ভোরে একটি বিমানে করে তার লাশ সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এলাকার শতশত মানুষ তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে জড়ো হন। এ সময় তাঁর পরিবারের লোকজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। ওই দিন বাদ জোহর জামুরাইল জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল মালিক ক্বাসিমী। জানাজা শেষে তাকে জামুরাইল গোরস্থানে দাফন করা হয়।
জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের জামুরাইল গ্রামের আব্দুল করিমের (হারু মিয়া) টগবগে ছেলে মাওলানা বদরুল ইসলাম (৪২)। ১৯৯৮ সালে ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মোহাম্মদিয়া হাড়িকান্দী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করে বেশ কয়েক বছর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও মসজিদে ইমামতি করেন। মা-বাবা, তিন ভাই, পাঁচ বোন, স্ত্রী ও চার সন্তানের পরিবার তখন অনেকটা টানাপোড়নের মধ্যে চলছিল। তাই সোনালী ভবিষ্যতের আশায় প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন আবুদাবীতে। বৈধভাবে প্রায় তিন বছর সেখানে রুজি-রোজগার করে দুই বছর পূর্বে বাড়িতে এসেছিলেন মাওলানা বদরুল ইসলাম। তখন তার পরিবারে অনেকটা আশার আলো জেগে উঠেছিল। ভালোই চলছিল তাদের এ বিশাল পরিবার। কিন্তু নির্মম নিয়তি ছুটি কাটিয়ে পুনরায় আবুদাবীতে ফিরে গেলে অবৈধ হয়ে পড়েন মাওলানা বদরুল ইসলাম। এনিয়ে তিনি চরম দুঃশ্চিন্তায় থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে রুজি-রোজগার করে টাকা দিতেন বাড়িতে। এভাবে প্রায় দুই বছর যাওয়ার পর চলতি জুন মাসের প্রথম দিকে হঠাৎ ব্রেইন স্টোক করেন মাওলানা বদরুল ইসলাম। তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ১৪ জুন রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি.....রাজিউন)। মৃত্যুর এক সাপ্তাহ পর গতকাল ২১ জুন রোববার ভোরে একটি বিমানে করে তার লাশ সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এলাকার শতশত মানুষ তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে জড়ো হন। এ সময় তাঁর পরিবারের লোকজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। ওই দিন বাদ জোহর জামুরাইল জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল মালিক ক্বাসিমী। জানাজা শেষে তাকে জামুরাইল গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উনি ভালো লোক আছিলা আল্লাহ উনাকে বেহেস্তত নাছিব করুন আমিন
উত্তর দিনমুছুন