রহমত আলী হেলালী
জকিগঞ্জের কসকনকপুর ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী একটি বাড়ীতে হেলিকপ্টার তৈরী হচ্ছে। প্রথম দিকে বিষয়টি অনেকে বিশ্বাস না করলেও সময়ের ব্যবধানে তা বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠে। শুনা যায়, উত্তর কসকনকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের পুত্র মাহফুজুল আলম নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় হেলিকপ্টার তৈরী করছেন। এমন একটি অবিশ্বাস্য খবরে এলাকার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়। এলাকার লোকজন একনজর হেলিকপ্টারটি দেখতে ওই বাড়ীতে প্রতিদিন ভীড় জমাতে শুরু করেন। এনিয়ে মানুষের আগ্রহেরও শেষ নেই। জকিগঞ্জের প্রতিটি বাজারের চায়ের হোটেল থেকে শুরু করে গ্রামের গৃহবধু পর্যন্ত হেলিকপ্টার তৈরীর বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। হেলিকপ্টার উড়বে কি উড়বে না তা নিয়ে সর্ব মহলে চলছে রসাত্মক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন ‘অতখান যদি করতে ফারছে তাইলে হেলিকপ্টার আসমানও উড়াইবো’ আবার কেউ কেউ বলছেন ‘ইকান আসমান তুলিয়ানি কোন বিফদে পড়ে’ আবার অনেকে বলছেন, সে নিজর নাম
জকিগঞ্জের কসকনকপুর ইউনিয়নের সুরমা নদীর তীরবর্তী একটি বাড়ীতে হেলিকপ্টার তৈরী হচ্ছে। প্রথম দিকে বিষয়টি অনেকে বিশ্বাস না করলেও সময়ের ব্যবধানে তা বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠে। শুনা যায়, উত্তর কসকনকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের পুত্র মাহফুজুল আলম নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় হেলিকপ্টার তৈরী করছেন। এমন একটি অবিশ্বাস্য খবরে এলাকার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়। এলাকার লোকজন একনজর হেলিকপ্টারটি দেখতে ওই বাড়ীতে প্রতিদিন ভীড় জমাতে শুরু করেন। এনিয়ে মানুষের আগ্রহেরও শেষ নেই। জকিগঞ্জের প্রতিটি বাজারের চায়ের হোটেল থেকে শুরু করে গ্রামের গৃহবধু পর্যন্ত হেলিকপ্টার তৈরীর বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। হেলিকপ্টার উড়বে কি উড়বে না তা নিয়ে সর্ব মহলে চলছে রসাত্মক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন ‘অতখান যদি করতে ফারছে তাইলে হেলিকপ্টার আসমানও উড়াইবো’ আবার কেউ কেউ বলছেন ‘ইকান আসমান তুলিয়ানি কোন বিফদে পড়ে’ আবার অনেকে বলছেন, সে নিজর নাম

১৩ বছরের একটি ছেলে হেলিকপ্টার তৈরী করে ফেলে। পাইলটসহ একজন যাত্রী নিয়ে তরতর করে সে হেলিকপ্টারটি উড়ে যায় আকাশে। সেটা ছয় মাস আগের কথা। সেই থেকে তার ভাবনার শুরু। ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে তিনি ডুব দেন ইন্টারনেটে। শুরু করেন অধ্যয়ন। হেলিকপ্টার তৈরী সংক্রান্ত ওয়েবসাইগুলি ঘাটাঘাটি করেন দিন-রাত। পেয়ে যান হেলিকপ্টার বানানোর তথ্য উপাত্ত। যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি লেগে যান স্বপ্নের হেলিকপ্টার তৈরীর কাজে। নিজ বাড়িতেই ইতিমধ্যে ওয়ার্কশপের দুই কর্মী কামরুল ইসলাম ও বাপ্পা চন্দ্র দাসকে সাথে নিয়ে হেলিকপ্টার তৈরীর কাজ সেরে ফেলেছেন প্রায় অর্ধেকটা। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, এই হেলিকপ্টার তৈরীতে খরচ হবে মাত্র ৭-৮ লাখ টাকা। তবে পূর্ণ সরঞ্জামাদি দিয়ে মনমতো কাজটি করতে ১৮-২০ লাখ টাকা লাগবে। এ হেলিকপ্টারে থাকবে অল্টিমিটার (যা দিয়ে উচ্চতা বুঝা যাবে), এয়ারস্পিড মিটার (গতি মাপার যন্ত্র), ভার্টিকেল স্পিড মিটার (উড্ডয়ন-আবতরণ গতি মাপক যন্ত্র), কম্পাস (দিক নির্ণয়যন্ত্র), ইনক্লাইনোমিটার (ডান/বামে কাত হওয়ার মাত্রা নির্ণায়ক) এবং অটো ইঞ্জিন। গাড়ীর ইঞ্জিনকে এয়ারক্রাপ্ট ইঞ্জিনে রূপান্তর করা হবে। সিএনজি দিয়ে ই চলবে হেলিকপ্টার। গ্যাস শেষ হলে অকটেন ব্যবহার করা যাবে। হেলিকপ্টারটি ৮-৯ হাজার ফুট উচ্চতায় একটানা তিনঘন্টা পর্যন্ত উড়তে পারবে। তিন ঘন্টায় প্রায় ৪০০ কি.মি. অতিক্রম করতে পাবরে। এর গতি হবে ১২০-১৫০ নটিক্যাল মাইল। সব মিলিয়ে হেলিকপ্টারটির ওজন হবে ৩০০ কেজি। এর মধ্যে ইঞ্জিনের ওজন হবে ১০০ কেজি এবং গ্যাস সেলেন্ডারের ওজন হবে ৬০ কেজি। লোহারপাত দিয়ে এয়ারফ্রেম বা হেলিকপ্টারের বডি তৈরী করছেন। বহিরাংশে প্লেন শিট ব্যবহার করা হবে। ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর ভেলেঞ্চার (দুটি ডানায়), ও প্রপেলার (ফ্যান-যা ইঞ্জিনের শক্তি যোগাবে) লাগানোর পর মাঠে পাওয়ার টেস্ট করা হবে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করবে হেলিকপ্টারটি। পাইলটসহ একজন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এ হেলিকপ্টারে। ১০০-১২০ মিটার খালি জায়গা থাকলে সহজেই বিমানটি অবতরণ করতে পারবে যে কোনো জায়গায়। সফলতার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মাহফুজ সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রথম তিনি বিমান তৈরীর বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। পর্যায়ক্রমে হেলিকপ্টারের ড্রয়িং এঁকে অবকাঠামো তৈরী শুরু করেন। মাহফুজ জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীন, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন বিমান রয়েছে। এটিকে এয়ারক্রাপ্ট/এরোপ্লেন বা স্পোর্টস এয়ারক্রাপ্ট বলা হয়। ৫০-৬০ লক্ষ টাকায় তা সহজেই কেনা যায়। এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিত পাল জকিগঞ্জ সংবাদকে বলেন, হেলিকপ্টার তৈরীর কথা বললেই হেলিকপ্টার বা এরোপ্লেন হয়না। এমন কিছু করতে অনেক জানার ও বুঝার রয়েছে। কন্ট্রোল মেকানিজম ও মেকানিকেল পার্টসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কিভাবে হচ্ছে তা বুঝার বিষয়। তাই না দেখে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !