স্টাফ রিপোর্টার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে আগামী ২৪, ২৫, ২৬ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত মাহফিলে অংশ গ্রহনের জন্য জকিগঞ্জের সকল ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহবান জানিয়েছেন মোঃ আবুল হোসাইন (তারা মিয়া)। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রবীন এই নেতা বলেন, প্রতি বছর দু’বার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ মাহফিল চরমোনাই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। অগ্রহায়ণ ও ফালগুন বছরে দু’বারে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও কালের আবর্তনে ফাল্গুনের মাহফিলটি লোকসমাগম ও ওলামায়ে কেরামদের উপস্থিতির দিক দিয়ে প্রতি বছরই তার রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে। এখানে কত লক্ষ লোক উপস্থিত হয় ও ৩ দিন অবস্থান করে তা পুরোপুরি গণনা করা সম্ভব না হলেও এতটুকু আন্দাজ করা যায় যে, এতবড় জমায়েত দেশে বিশ্ব ইজতিমার পর আর কোথাও হয় না। মাদ্রাসা ময়দানে মাহফিল হলেও মূলত এলাকা ব্যবহার হয় আরো বিশাল। মাদ্রাসা মাঠের পশ্চিমে থাকে বিশালাকার মূল প্যান্ডেল। কিন্তু এই মাঠ ছাড়াও পূর্বে, উত্তর ও দক্ষিণে আরো ৩টি মাঠ প্যান্ডেল সজ্জিত করা হয়। এগুলোর কোনো কোনো মাঠ মূল মাঠের চাইতে আয়তনে অনেক বড়। সবগুলো মাঠ কারো পক্ষে একত্রে পুরো ঘুরে আসা অসম্ভবের কাছাকাছি। আর সবগুলো মাঠই থাকে ৩ দিন অবস্থানকারীদের মাধ্যমে পূর্ণ, ভাসমান লোক এখানে খুবই নগন্য। শুধু আয়তনেই এটি বৃহৎ তা-ই নয়। ওলামা-হযরতদের বরকতময় পদধুলির কারণে ইসলামবিমুখ অনেক মানুষ এখানে ৩ দিন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষ হিসেবে বাসায় ফিরে গেছে এমন রেকর্ড অজস্র। এ তালিকায় যেমন আছে বিধর্মীরা তেমনি আছে নাস্তিক, শীর্ষ সন্ত্রাসী, নেশাখোর, চোর-ডাকাতের সর্দাররা। জেনারেল মাধ্যমে পড়াশুনা করা দ্বীনবিমুখ অনেক প্রথিতযশা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, আইনজীবীও এখানে এসে আজ আদর্শ মানুষে পরিবর্তিত। দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ, দেওবন্দী বুজুর্গানে দ্বীন এ মাঠে গিয়ে ঘোষণা দিয়ে এসেছেন। তিনি জকিগঞ্জের ধর্মপ্রাণ সকল মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনও যাদের যাওয়ার সুযোগ হয়নি তারা আসুন না, ৪ দিনের সময় নিয়ে চরমোনাই’র এ মকবুল মাহফিলে যাই।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !