
স্টাফ রিপোর্টার
বাঙ্গালী সংস্কৃতির বহমান উদার-অসাম্প্রদায়িক ধারার এক অনন্য সংযোজন অমর একুশে বই মেলা। শুধু গ্রন্থকে কেন্দ্র করে এমন একটি মেলা সারা বিশ্বেই বিরল। সালাম, শফিক, রফিক, জব্বার, বরকত ও শফিউলসহ জানা-অজানা অসংখ্য বীর বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর উৎসব মুখর পরিবেশে আয়োজন করা হয় বাঙ্গালীর এ মহা মিলনের। জকিগঞ্জ উপজেলাবাসীও এ থেকে পিছিয়ে নেই। প্রায় এক যুগ থেকে মহান একুশে ফেব্র“য়ারীকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জ পৌর শহরে বই মেলা চলে আসছে। তবে গত বছর এ সময় উপজেলা নির্বাচন হওয়ায় বই মেলা করা সম্ভব না হলেও এ বছরও জকিগঞ্জ পৌর শহরে পাঁচ দিনব্যাপী বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও জকিগঞ্জ পুস্তক বিক্রেতা সমিতির যৌথ প্রয়াসের আজ ২১ ফেব্র“য়ারী শনিবার জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিটন খীসার সভাপতিত্বে ও জকিগঞ্জ পুস্তক বিক্রেতা সমিতির আহবায়ক আব্দুল আহাদের উপস্থাপনায় আয়োজিত উদ্বোধনী আনুষ্ঠানের শুরুত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলার আহবায়ক ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেবব্রত দাস। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। এছাড়া অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার হাজী খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুজিত কুমার রায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, সমাজসেবী ও রাজনীতিবীদ এম.এ.জি.বাবর, আব্দুল কাইয়ুম ও সাংবাদিক এনামুল হক মুন্না প্রমূখ। জানা যায়, এবারের বই মেলায় ১৫টি স্টল রয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলনে জকিগঞ্জের সম্পৃক্ততা নিয়ে একটি বই ও কবি মিসবাহ আজাদের “এই রৌদ্র এই রম্যতা” নামে একটি বই প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া মেলায় প্রতিদিন বিকালে রয়েছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
উল্লেখ্য যে, সিলেটের উপজেলা পর্যায়ে একমাত্র জকিগঞ্জে-ই বই মেলা হয়ে থাকে বলে জানা যায়।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !