জকিগঞ্জ উপজেলার কলাকুটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়শা বেগম (নাসিমা)’র বেত্রাঘাতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, গত ১০ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার ‘পড়া না পারার’ অজুহাতে ওই শিক্ষিকা তৃতীয় শ্রেণীর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার, শারমিন আক্তার শাহী ও মীম আক্তারসহ কয়েকজন বেদরক বেত্রাঘাত করেন। তার বেত্রাঘাতে আহত একাধিক শিক্ষার্থীকে কালিগঞ্জ বাজারে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শারমিন আক্তার শাহীকে জকিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এ বিষয়ে হাড়িকান্দি মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, তার প্রতিবন্দী সন্তান তাহমিনা আক্তারকে পিটিয়ে আহত করেন আয়শা বেগম। কলাকুটা গ্রামের মোস্তফা আহমদ জানান, তার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার শাহীর পিটে ১০/১২টি বেত্রাঘাত রয়েছে। প্রতিটি বেত্রাঘাতে তার পিটে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তিনি মেয়েকে জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষিকা আয়শা বেগম (নাসিমা) মোবাইল ফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। তবে স্বামী কবির আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে ফেলেছি। এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষিকা মানষিক ভারসাম্যহীন। কখন কী করে তা নিজেই বলতে পারেন না। তবুও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তারা বলেন, ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষিকা নাসিমা ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রিফাত আহমদকে জুতা পেটা করে আলোচনায় আসেন। সে ঘটনায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এছাড়া সম্প্রতি বেত্রাঘাতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Home »
শিক্ষাঙ্গণ
» জকিগঞ্জে শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে!
জকিগঞ্জে শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে!
Written By zakigonj news on শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ১২:২৭ PM
Labels:
শিক্ষাঙ্গণ
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !