স্টাফ রিপোর্টার
চলমান আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে অবরোধে পাশাপাশি অসহযোগ কর্মসুচির দাবী জানিয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী বাকশালী সরকারের অব্যাহত জুলুম নির্যাতনের ফলে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারন জনতার পিঠ দেয়ালে লেগেছে। এমতাবস্থায় অসহযোগ আন্দোলনের বিকল্প নেই। জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা চায় কেন্দ্র থেকে অসহযোগ আন্দোলন ঘোণার। নতুবা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর অব্যাহত হয়রানীর ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীর মনোবল ভেঙ্গে যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি তথা ২০দলীয় জোট। শীঘ্রই অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে। এজন্য চলমান আন্দোলনে কৌশলেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অসহযোগ ও ঢাকা ঘেরাও কর্মসুচিতে যাওয়ার আগে ২০ দলীয় জোট অবরোধ-হরতালের পাশাপাশি সারাদেশে মিছিল সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিএনপি বিবৃতির মাধ্যমে আগামীতে অসহযোগ আন্দোলনসহ কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা ইঙ্গিত দিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীতে আন্দোলনকে গতিশীল করতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে চলমান কর্মসুচি সফল করতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এসব কর্মসুচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। তখন সরকারের সঙ্গে আর কোনো সংলাপে বসবে না বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। সরকার পতন আন্দোলনে যাওয়ার ব্যাপারে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে কেন্দ্রে ওপর। তৃণমুলের দাবি সরকারের সঙ্গে সংলাপের জন্য অপেক্ষা করে আন্দোলন দীর্ঘায়িত করলে তার ফল ঘরে আসবে না। তারা মনে করেন সরকার ইচ্ছে করে সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ্এক ইসুতে আন্দোলন চলতে থাকলে আন্দোলনের গতি হারাবে তখন সরকার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের ওপর আরো কঠোর হবে। তাই সরকারকে ্আর সময় না দিয়ে এখনই সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করে তৃণমুলের নেতারা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !