স্টাফ রিপোর্টার
আগামী ১৮ অক্টোবর জকিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১০(৩) অনুসরনপূর্বক ৩১ জানুয়ারী ২০১৩ সালের চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় আগামী ১৮ অক্টোবর তারিখে জকিগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনের জন্য অনুমতি প্রদান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার টিটন খীসা এক গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ১৮ অক্টোবর ভোট গ্রহন। জানা যায়, পৌরসভার প্রয়াত মেয়র আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন জীবিত থাকাবস্থায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র নিয়ে জটিলতার সৃষ্ঠি হয়। পরবর্তীতে তার মৃত্যুজনিত কারণে মেয়র পদটি শূণ্য হয়ে পড়লে এনিয়ে দেখা দেয় বড় ধরণের জটিলতা। সম্প্রতি প্যানেল মেয়র-১ আব্দুল মালেক ফারুককে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে কাউন্সিলারদের মাঝে অসন্তুষ্টি দেখা দেয়। এরই মধ্যে তড়িগড়ি করে জকিগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে কাউন্সিলরদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
এদিকে জকিগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। প্রচার প্রচারণার কৌশল হিসাবে আগে থেকেই অনেকে পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। বিবাহ অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও জানাজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছেন তারা। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক প্রার্থী। অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী তালিকায় প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের নাম বেশী শুনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান প্যানেল মেয়র পৌর জাপার আহবায়ক আব্দুল মালিক ফারুক, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট কাওসার রশিদ বাহার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী খলিল উদ্দিন, কাউন্সিলর জোসনা খানম, সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বদরুল হক বাদল, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালিক, খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা মখলিসুর রহমান, জমিয়ত নেতা মাওলানা ফখরুজ্জামান, জামায়াত নেতা ইমরান আহমদ, আল ইসলাহ নেতা কাজী হিফজুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর সদ্য প্রয়াত মেয়র আনোয়ার হোসেনের পুত্র আব্দুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ, এম এ জি বাবর, মারুফ বখতিয়ার খুররম, সোনার বাংলার এমডি জাফরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আব্দুস শহীদ, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা ময়নুল হক, ব্যবসায়ী মুজম্মিল আলী আদই, আব্দুল মুক্তাদির ও আব্দুর রহমান লুকু। এছাড়া সাবেক মেয়র ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের ছোট ভাই বিএনপি সমর্থক মাহফুজ আহমদেরও নাম শুনা যাচ্ছে। তবে মর্যাদাপূর্ণ এই পদটি নিজেদের হাতে নিতে তৎপর আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাপাসহ সকল রাজনৈতিক দল। তাই তারা নিজেদের দলের একক প্রার্থী দেয়ার চিন্তা করছেন। এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে একজন প্রার্থী দেব। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইকবাল আহমদ বলেন. দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই নির্বাচনে লড়াই করার মতো যোগ্য একজন প্রার্থী ঠিক করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৫ ফ্রেবুয়ারী হতে সদ্য প্রয়াত মেয়র আনোয়ার হোসেনের মেয়াদকাল শুরু হয়। এই মেয়াদকাল অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৬ ফ্রেবুয়ারী তার মেয়াদকাল ৫ বছর পূর্ণ হত কিন্তু গত ২০ জুলাই পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর কারনে জকিগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচন অনুষ্টিত হবে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !