স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের আলোচিত শিক্ষক আব্দুল করিম হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ২নং আসামী সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই আব্দুস শাকুর ৩ দিনের পুলিশি রিমান্ড গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। রিমান্ডে সে নিজেকে রক্ষার চেষ্ঠা করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ থাকলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনিসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে শাকুর জানায়, হত্যাকান্ডের দিন সে বাড়িতে ছিলনা। খবর পেয়ে সে বাড়িতে এসে জেনেছে রহিম ও ফাহিম বড় ভাই আব্দুল করিমকে মেরেছে। এছাড়া সে বিভিন্ন ধরণের উল্টাপাল্টা কথা বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান। হত্যার বিষয়টি জানার পর সে পুলিশকে না জানানোর বিষয়টি তার অপরাধ বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। অন্যদিকে ১ দিনের রিমান্ডে আসামী শেফা বেগম বলেন, ঘটনার দিন সে বাপের বাড়িতে ছিল। তার স্বামী আব্দুর রহিমের নির্দেশে সে বাড়িতে এসে হত্যার আলামত নষ্ট করে। তবে শেফা দেবর এসআই শাকুরের উপস্থিতি বিষয়ে মুখ খুলেনি। এদিকে আসামীদের এমন রহস্যজনক বক্তব্যে হতাশ হয়েছেন জকিগঞ্জের সচেতন মহল। তারা বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ ও বিভিন্ন তথ্য পুলিশের নিকট থাকার পরও কিভাবে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্ঠা করলো। অবশ্যই পুলিশ উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করলে সে সব খুলে বলতো। এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এসআই শাকুর তো কাঁচা লোক নয়। সে একজন পুলিশের লোক। তার নিকট থেকে তথ্য উদ্ঘাটন করা কঠিন। তবে তিনি আশ্বস্ব করে বলেন, সে যাই বলুক আমরা তদন্তে যা পাবো তা চার্জশীটে উল্লেখ করবো।
উল্লেখ্য যে, পারিবারিক কলহ ও জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে আপন ভাইদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন মেধাবী শিক্ষক আব্দুল করিম। ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্ঠা করেও শেষ রেহাই হয়নি খুনীদের। বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক কাহিনী। ১৩ দিন পর লাশ তোলা হয় কবর থেকে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলে আসামীরা হাইকোর্ট থেকে ৪ সাপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে আসে। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে শুধুমাত্র এসআই শাকুর আদালতে হাজির হলে আদালত থাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। গত ১ সেপ্টেম্বর আসামীদের রিমান্ডের শুনানী হলে বিজ্ঞ আদালত এসআই শাকুরকে ৩ দিনের ও ভাবী শেফা বেগমকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !