জাতীয় জীবনে অপরাধের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি আর কিছু নেই। অপরাধ এমন একটি ব্যাধি যে তা বিশ্বের যে কোনো উন্নত জাতিকে অল্প সময়ের মধ্যে চরম সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে। চুরি, ডাকাতি, মিথ্যাচার, আদর্শচারী, আদর্শহীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ইত্যাদি জাতীয় জীবনকে দুর্বিসহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে দেশ যখন নতুন আঙ্গিকে সামনের দিকে ধাবিত হয়। তখন বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যাবলি তা পেছনের দিকে নিয়ে যায়। অপরাধকে নির্মূল করার প্রয়াস নিয়ে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এরপরও যেনো কিছুতেই তা কমছে না। প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যা সাপ্তাহিক জকিগঞ্জ সংবাদে প্রকাশিত “জকিগঞ্জে হঠাৎ বেড়ে গেছে চুরি-ডাকাতি” শীর্ষক সংবাদটি পড়ে যে কেউ হতবাক হওয়ার কথা। কেননা মাত্র এক সাপ্তাহের ভিতরে ২টি ডাকাতি ও ৪টি চুরির ঘটনা ঘটে। প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে জকিগঞ্জ থানার পার্শ্ববর্তী হাইদ্রাবন্দ গ্রামের প্রবাসী কবির আহমদের বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে আলমারী ও শোকেস ভেঙ্গে মুল্যবান জিনিপত্রসহ ৬ তোলা স্বর্ণ ও ৩টি মোবাইল সেট লুট করে নেয়। যাওয়ার সময় প্রবাসী কবির আহমদের মা নাজমা বেগমের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল নিয়ে যায়। ঘটনা দেখে কবির আহমদের বোন ঝুমা ভয়ে চিৎকার দিলে ডাকাতরা তাকে দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এই ঘটনার মাত্র ১ দিনের মাথায় গত ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এক দুবাই প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। প্রবাসী কলিম আহমদের বাড়িতে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ডাকাতরা এসে কেসি গেইট ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশের পর ডাকাত দল কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে জিম্মি করে চোঁখ মুখ বেঁধে নেয়। এ সময় ডাকাতরা ঘরের সব ক’টি কোটা তছনছ করে আলমীরা ও শোকেস ভেঙ্গে ৪ তোলা স্বর্ণ, ৬টি মোবাইল সেট ও নগদ ৩২ হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম বাসষ্টেশনের মামুন এন্টারপ্রাইজে নামক মোবাইলের দোকানে এক দুর্ধষ চুরি সংঘটিত হয়। পরের রাতেই পার্শ্ববর্তী আটগ্রাম বাজারে কামিল ক্লথ ষ্টোরের সাটার ভেঙ্গে এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়। একই রাতে জকিগঞ্জ উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে সোলার প্যানেল চুরি হয়। আমরা আশা করি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এ ডাকাতির ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে। সে সাথে এ ধরণের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি আর না হয়, সেজন্য রাতের নিরাপত্তা বাহিনীরা আরো সতর্কতা অবলম্বন করবে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !