স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের আহসানুল হক চৌধুরী আশরাফ নামের এক শিশুর গুরুতর অবস্থা। সে সুলতানপুর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ঝনকি মিয়ার নাতি ও কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেলের ছেলে। জানা যায, সিলেট শহরতলীর খাদিম ৩নং রোডে বসবাসরত কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল তার ছেলে আশরাফের খতনার জন্য গত ৪ আগস্ট সিলেট নগরীর উপশহরস্থ বি-ব্লকের পদ্মা ফার্মেসীতে ‘ডাঃ’ লুৎফুর রহমানের নিকট যোগাযোগ করেন। লুৎফুর রহমান নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দাবী করে ঐ দিনই আশরাফের খতনা করেন। কিন্তু খতনার পর অতিরিক্ত রক্তকরণ হলে শিশুটির পরিবার দিশে হারা হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়দারী লুৎফুর রহমান পরবর্তী চিকিৎসা দিতে না পারায় শিশুটিকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অতিরিক্ত রক্ত করণের কারণ নির্ণয় করেন। হাসপাতালে ৭দিন ভর্তি থাকার পর গত ১৬ আগস্ট তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ছাড়পত্রে বলা হয়, হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা খতনা করানোর কারণে এ অবস্থা হয়েছে। হাতুড়ে ডাক্তার ভোতা কাঁচির দ্বারা শিশুর পেনিসের কয়েক স্থান ক্ষত বিক্ষত করে খতনা করে। এর ফলে পেনিসের কয়েক স্থানে কেটে গিয়েছিলো। শিশুটির পিতা কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল জানান, তাঁর ছেলে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তবে এখন সে আশংকা মুক্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, এখানে অনেক ভূয়া ডাক্তার আছে। এদের বিরুদ্ধো লিখিত অভিযোগ পেলে এ্যাকশন নিতে সুবিদা হয়। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !