
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য প্রয়াত সাংবাদিক ফয়জুর রহমান খসরুর পিতার নামে দানকৃত ৪৩ শতক জমির উপর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কেছরী খলিকুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে জ্বালিয়ে দেয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়টি পুনরায় চালুর দাবীতে ২০১০ সাল থেকে এলাকাবাসী চেষ্টা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন ২৩ আগস্ট জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী টিটন খীসাকে বিদ্যালয়ের ভুমি সংক্রান্ত মামলার রায় প্রদানের তাগিদ দিয়েছেন। সাবেক এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার, উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদও এ ব্যাপারে জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর পর এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর বিদ্যালয়ের জমির হারিয়ে যাওয়া দলিলটি সিলেটের সদর মাহফুজ খানার রেকর্ড রোম থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসককে দলিলের গ্রহীতা উল্লেখ করা হয়েছে। দলিলটি সম্পাদিত হয় ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে। ভূমিদাতা দলিলে উল্লেখ করেন কেছরী গ্রামের মধ্যস্থলে ঐ গ্রামের আশপাশের গরিব জনসাধারণের সন্তানদের পড়াশুনার সুবিধার্থে একটি প্রাইমারী স্কুলের প্রয়োজনের তাগিদে তিনি উক্ত স্কুলের ভুমি দান করেন। ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আব্দুল মানান চৌধুরী, ইসহাক খান ও মজিবুর রহমানের চাকরিসহ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ঐ বছরই বিদ্যালয়টি ঘুর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী বিদ্যালয় ঘরটি মেরামত করেন। কিছুদিন পরে রহস্যজনক আগুনে বিদ্যালয়টি পুড়ে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অন্যত্র বদলী হয়ে যান। তাই স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে চারটি মৌজার অন্তভূক্ত কেছরী, বিলেরবন্দ, মাইজকান্দি, কান্দিরপাড়, আনন্দপুর, কিল সদরপুর, ছয়লেন, পালপাড়া, পীরেরচক, গন্ধদত্ত, মধুদত্ত, খালপাড় ও দাশপাড়া গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ১৪-১৫টি গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !