স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের মেধাবী শিক্ষক আব্দুল করিমের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শিক্ষক করিম হত্যার প্রতিবাদী মঞ্চ আয়োজিত বিশাল প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মেধাবী ছাত্র শিক্ষক আব্দুল করিমের ঘাতকদের খুজে বের করে গ্রেফতার করা না হলে পুরো জকিগঞ্জে ভয়ানক আগুন জ্বলে উঠবে। সর্বস্তরের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যা গোটা দেশকে কাপিয়ে দেবে। বক্তারা বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোল স্তব্ধ হবে না। দাবী আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। বক্তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আন্তরিক হলে এতদিনে আসামীরা গ্রেফতার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হয়ে যেত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আপনারা শিক্ষক করিম হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতকদের ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতার না করে এখন বলছেন তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছে। এতে আপনাদের ভূমিকা জনগণের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। গতকাল ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ এম.এ.হক চত্বরে অনুষ্ঠিত বিশাল প্রতিবাদ সভায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করতে এসে এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। “ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই” শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জকিগঞ্জ পৌর শহর। বিকাল ৩টায় শিক্ষক করিম হত্যার প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুশ শহীদ তাপাদারের যৌথ পরিচালনায় সভা শুরু হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ.সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইকবাল আহমদ, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মোশতাক আহমদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম আলী হায়দর, কাজলসার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম.এ. রশীদ বাহাদুর, খলাছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির আহমদ, সুলতান পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ একল, মানিকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু জাফর মোঃ রায়হান, বারঠাকুরী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা টিপু, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল ইসলাম, জেলা খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মখলিছুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খলিল উদ্দিন, উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএজি বাবর, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান, উপজেলা আল ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোস্তাক আহমদ, সাপ্তাহিক জকিগঞ্জ সংবাদের প্রধান সম্পাদক রহমত আলী হেলালী, অনলাইন পত্রিকা জকিগঞ্জ বার্তার সম্পাদক এনামুল হক মুন্না, জকিগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মাহতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দিলাল আহমদ, কামালগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আজির উদ্দিন, জকিগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহিবুর রহমান, জকিগঞ্জ কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মামুনুর রশীদ, সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, জকিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি রওশন আরা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন, প্রভাষক এমাদ উদ্দিন, মাওলানা জামিল আহমদ, সুপার মাওলানা ফারুক আহমদ, মাসুক আহমদ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল আহাদ, শিক্ষক মহিউদ্দিন হায়দার, সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য আতিকুর রহমান মনি, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিব্বীর আহমদ চৌধুরী আলম, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক হাসান আহমদ, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক ইউপি সদস্য ফুরকান আহমদ মুন্সি, শিক্ষক আব্দুল করিমের মামা নোমানুর রশীদ, প্রবীণ শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুস সুবহান, উপজেলা ছাত্রদলের অর্থ সম্পাদক হিফজুর রহমান, ব্যাংকার আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল মুনিম জামাল, আজিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালিক, এইচ এম কামরুজ্জামান, ছাত্রনেতা হাসানুল বান্না, শিক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী, মনওয়ার হোসেন, মুস্তাক আহমদ, আব্দুল কুদ্দুস, রায়হান আহমদ, ফুরকান আহমদ ও মাওলানা আতিক উদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ জুলাই জকিগঞ্জ সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক এবং বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর সরুপচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল করিমকে নিজ গৃহে আপন ভাইয়েরা রাতব্যাপী নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !