স্টাফ রিপোর্টার
৭১-এ দেশ ও জাতি রক্ষায় যে লোকটি প্রবাসে বাঙ্গালীদের একত্রিত করে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার অর্জনের সংবাদে যে লোকটি বৃটেনে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছিলেন। আজ তিনি একটি ভূমি খেকো চক্রের নিকট অসহায়। নিজ নামে খরিদা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে সমাজের প্রভাবশালী একটি কু-চক্রি মহল। সূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার খিলগ্রামের লন্ডন প্রবাসী ও প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ খলিলুর রহমান ১৯৭৮ সালে বর্তমান সিলেট শহরতলীর শাহপরান থানাধীন বহর মৌজায় সাড়ে ৩৯ শতক জায়গা সিলেট সদর সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসে ১৮৪৪৮ নং দলীলমূলে ক্রয় করেন। তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে জায়গাটি নিজ দখলে রেখে ভোগাধিকার করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশে আসলে জায়গাটি দেখার লক্ষে গত ১০ আগস্ট বিকালে সরেজমিনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান শহরতলীর নিপবন এলাকার বাসিন্দা জনৈক নুরুল হক চৌধুরী ৫/৬ জন লোক নিয়ে তাঁর জায়গার পশ্চিম পাশে দেয়াল নির্মাণের জন্য পিলার করছে। এমতাবস্থায় প্রবাসী খলিলুর রহমান তার জাগয়া দখলের কারণ জিজ্ঞাসা করলে নুরুল হক চৌধুরী গং ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করলে উপস্থিত ২ জন লোক তাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় নুরুল হক চৌধুরী বলেন, জায়গাটি কার তা আমার দেখার বিষয় নয়। প্রয়োজনে সমস্ত জায়গা আমি দখলে নেব। এ ঘটনা বর্ণনা পূর্বক প্রবাসী খলিলুর রহমান গত ১১ আগস্ট সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশ কমিশনার বিষয়টি সরেজমিন অনুসন্ধান করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহপরাণ থানার ওসির নিকট প্রেরণ করেন। ওসি বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার এসআই আব্দুস সাত্তারকে দিলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শান্তি শৃংখলাসহ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য দঃবিঃ ১৫৪ ধারা মোতাবেক সর্তকীকরন নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু বাদী পক্ষ অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের স্থিতিবস্থা অমান্য করে নুরুল হক চৌধুরী এখনও জায়গা দখলের কাজে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার এসআই আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে জায়গাটিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করেছি। স্থিতিবস্থা অমান্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। শীঘ্রই আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রদান করব।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !