বিশ্বের মুসলমানদের মহাগ্রন্থ হচ্ছে পবিত্র আল ক্বোরআন। যাতে কারো কোন দ্বিমত বা সন্দেহ নেই। আর এ মহাগ্রন্থটি নাজিল হয়েছে পবিত্র মাহে রমজানে। এজন্য মাহে রমজানের সাথে আল ক্বোরআনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। পৃথিবীর মুসলমানরাও রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পবিত্র ক্বোরআন তেলাওয়াত ও সহীহ ক্বোরআন শিক্ষার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেন। ফলে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে পুরো রমজান জুড়ে খতম তারাবীহ ও বিশুদ্ধ ক্বোরআন শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়। বিশেষ করে সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জ এ ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে। গত সাপ্তাহের জকিগঞ্জ সংবাদে দেখা যায়, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে অতিতের ন্যায় এবারও দেড় শতাধিক ক্বেরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। সংবাদটি ৯০% মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সরকারের ও ধর্মপ্রাণ সকল মুসলমানদের জন্য আনন্দের বার্তা বহন করে। কেননা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত একটি ফজিলত পূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াতের জন্যে রয়েছে প্রতি হরফে দশটি করে নেকী। তেলাওয়াত যিনি করেন এবং যিনি বা যারা শোনেন উভয়ের জন্যেই রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও ছওয়াব। তেলাওয়াত ইসলামী সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। একদিকে তেলাওয়াত যেমন দ্বীনি ক্ষেত্রে একটি ছওয়াবের বিষয় অপরদিকে এটি একটি শিল্পও। আর এই শিল্প বিকাশে জকিগঞ্জসহ দেশের আলেম-ওলামা ও ক্বারী ছাহেবরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও আজ প্রায় পঁচানববই ভাগ ক্ষেত্রেই সংগীত শিল্পটিকে মানব চরিত্র ধ্বংসের কাজেই ব্যাবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তেলাওয়াত হচ্ছে এক ঐশী শিল্প। যাতে রয়েছে আল্লাহর রহমত ও ইসলামের সমর্থন। এছাড়া তেলাওয়াত এমনই এক মহান শিল্প যার মধ্যে পবিত্রতা, গভীরতা, দৃঢ়তা, শ্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা, মমতা ও আত্মার প্রশান্তি রয়েছে। তাই পবিত্র আল ক্বোরআনের সহীহ শিক্ষা ও তেলাওয়াত সকল মুসলমানের জন্য অত্যান্ত জরুরী। আশার কথা যে আমাদের দেশে বেশ কয়েক বছর থেকে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী ক্বোরআন শিক্ষা প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যদিও এ সকল ক্বোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোতে সরকারের নুন্যতম পৃষ্ঠপোষকতা বা সহযোগীতা নেই। অথচ পবিত্র রমজান জুড়ে সুললিত কন্ঠের তেলাওয়াত ও হামদ-নাত মানুষের হৃদয়ে ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা, পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিক আমেজ তৈরি করে আসছে। নতুন প্রজন্মকে অপরাধ জগত থেকে দূরে নিয়ে এসে ক্বোরআনের আলোয় আলোকিত করছে। আমরা মনে করি, পবিত্র আল ক্বোরআনের এই সহীহ শিক্ষাকে বিকশিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছুটা বাজেট রাখা উচিত। যাতে প্রতি রমজনে ক্বোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহে নির্দিষ্ট হারে আর্থিক সহযোগীতা করা যায়। আমরা শতভাগ আশাবাদী, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !