মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
হাসিনা মাই,
ছিঠির ফয়লা গাউ-গেরামর হাজার হাজার হতভাগা, আউয়া-জাউয়া জনগণর ফক্ষ থাকি আমি বেহায়া বেইজ্জত, জনম দুঃখী, কপাল ফুড়া, আদুম ছুদুম, জকিগঞ্জী চাচার সালাম নিবায়। আশা করি বেশ বালাউ আছওইন।
পর সমাচার মাই গো,
আমরার দুঃখ কে দেখতো। মরাত লাগলেও জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালও একজন ভালা ডাক্তার দেখানি যায় না। এক্সরে করা যায় না। রোগীরে অন্যত্র রেফাড করা অইলে নেওয়ার লাগি হাসপাতালর কোন এ্যাম্বুলেন্স নাই। যার কারণে গো মা, জকিগঞ্জ হাজার হাজার মানুষ বেশ কষ্টে আছওইন।
মাই গো,
তাজ্জুবর হাল, জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালর মেডিকেল অফিসার ডা. নাসরীন আক্তার গত সাত বছর ধরি কর্তৃপক্ষর কোন অনুমোদ ছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত নায়। এর চেয়ে আচানক খবর অইলো গো মা, জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে কর্মরত তিন ডাক্তারর মাঝে নাসরীন আক্তারের নামও উল্লেখ আছে। যার কারণে এই পদও নতুন কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া যার না। দেখ গো মাই, আমরার কি অবস্থা! গাউ গেরামর মানুষ আউয়া জাউয়া আছলাম করি সাত বছর তাকি ডাক্তার বেটি হাসপাতালে উপস্থিত না থাকিয়া এখনও তাইন অউ পদও বহাল আছওইন।
মাই গো,
হুনলে তুমি বেয়াক্কল অইবায় যে, জকিগঞ্জর তিন লাখ তাকি বেশী মানুষরে চিকিৎসা সেবা দিরা মাত্র একজন ডাক্তারে। হাসপাতালও ডাক্তার অখলর ১১টা পদের মধ্যে ৭টা পদ খালি। আর কাগজে কলমে হাসপাতালও আছওইন যে চার জন ডাক্তার এর মধ্যে সাত বছর থাকি অনুপস্থিত ডা. নাসরিন আক্তারর নাম আছে। বাকি তিন জন ডাক্তারর মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অমিতাভ দে মারা যাওয়ায় তা দীর্ঘদিন তাকি খালি আছে। বাকি দুই জনর মাঝে গাইনী চিকিৎসক ডা. রওশন আরা বেগম সাপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন। সাপ্তাহের বাকী দিনগুলোতে তিনি অফিস করেন না। তবে একমাত্র ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহদী পুরো সাপ্তাহ উপস্থিত থাকিয়া একলা পুরো হাসপাতাল চালাইয়া যাইরা।
মাই গো,
আমরার আরো দুঃখর খবর অইলো নার্সর ১০টি পদর মাঝে আছওইন মাত্র ৩ জন। হাসপাতালর একমাত্র এম্বুলেন্সটা চলতি বছরের ৫ জানুয়ারী অবরোধের রাতে দুর্বৃত্ত অখলে জ্বালাইয়া ভষ্ম করি ফালাইছওইন। এক্সরে মেশিন বছরের পর বছর ধরি নষ্ট হয়ে আছে। যার কারণে মানুষর কষ্টর শেষ নাই।
মাই গো,
কারেন্ট না থাকলে হাসপাতালর অবস্থা একেবারে বেঅবস্থা অইযিত আর নামমাত্র জেনারেটার থাকলেও রোগী অখলে জেনারেটার তাকি ঠিক মতো সেবা পাইতা না। তবে গত কয়েকদিন আগে আমরার উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ছাব সৌর বিদ্যুৎ লাগাইয়া দিছওইন। জানিনা বর্তমানে হাসপাতালর কী অবস্থা। এছাড়া হাসপাতালর বাথরুমর দুর্গন্ধ ও হাসপাতালও হামানির রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় সব সময় রোগী ও রোগী লগে থাকা মানুষর সীমা ছাড়া কষ্ট অয়।
মাই গো,
দয়া করি, আমার লেখা চিঠিটা কষ্ট করি মনোযোগ দিয়া পড়িয়া, দুর্দশার কথা হুনিয়া, প্রয়োজনে হাছা না মিছা তা খবর লইয়া আমরার দিকে নজর দেউক্কা। নাইলে গো মা, এই অবস্থায় আমরা থাকতাম কিলা। আফনে আফনে আল্লারবায়দি ছাইয়া আমরার এই সমস্যা অখল সমাধান করি দেউক্কা।
ইতি
আফনার ফুরনা ফাগল
জকিগঞ্জী চাচা
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !