.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল হাফিজুর রহমান। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হলে সে জিপিএ-এ মাইনাস (অ-) লাভ করে। স্বপ্ন ছিল ভালো কলেজে ভর্তি হবে। আর লেখাপড়া করে ভবিষ্যতে দারিদ্র মা-বাবার দুঃখ কিছুটা হলেও লাগব করবে। কিন্তু দূর্ভাগ্য সে তার রঙ্গিন স্বপ্ন পূরণের আগেই এ নশ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে। জানা যায়, গত ২৬ মে সোমবার বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যুবরণ করে। হফিজুর রহমান মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিল। সে সুলতানপুর ইউনিয়নের গেছুয়া (পশ্চিম মজলি) গ্রামের খলিলুর রহমান খলু মিয়ার পুত্র। সে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ইলাবাজে নানার বাড়িতে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করে। স্থানীয়রা জানান, হাফিজুর রহমান লেখা-পড়ার পাশাপাশি ইলেকট্রিকের কাজ করতো। অত্যান্ত নম্র ও ভদ্র স্বভাবের হাফিজুরের ইচ্ছা ছিল লেখা পড়ার সাথে সাথে ইলেকট্রিকের কাজ শিখে মা-বাবার দুঃখ কিছুটা ঘোছাবে। ঘটনার দিন ড্রিল মেশিন দিয়ে কাজ করা অবস্থায় বিদ্যুতের স্পর্শ তার হাতে লাগে। এতে মূহুর্তেই সে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঐদিন রাত ১০টায় চারিগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে হাফিজুর রহমানের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌছলে মা-বাবা পাগলের মতো হয়ে যান। জীবনের একমাত্র আশা-ভরসার প্রতীক সেই পুত্রের মৃত্যু সইতে পারছেন না তারা। মৃতদেহ বাড়িতে নেওয়া হলে ্এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক ও এলাকার মানুষের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !