মুসল্লিদের তোপের মুখে পালালেন ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা
স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার রহীমপুরী খালের মুখে নির্মাণাধীন পাম্প হাউজের গভীর খনন কাজের কারণে গ্রামের মসজিদ ধ্বসে পড়েছে। মসজিদ ধ্বসে পরার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এলাকার মুসল্লিরা। তাই মসুল্লিদের তোপের মুখে পড়ে পালাতে হয়েছে প্রকল্পের ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাম্প হাউজের কাজ বন্ধ রয়েছে। সবগুলো ক্রেন, ট্রাকসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদিও সরিয়ে নিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। পাকা টিনসেড মসজিদটি ধীরে ধীর ধ্বসে পড়েছে। দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। মুসল্লিরা পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক লোক বলেন, আল্লাহর ঘর মসজিদকে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা অবিলম্বে মসজিদের ্ক্ষতিপূরণ বাবাৎ ৫০ লাখ টাকা দাবী করে বলেন, মসজিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে ঠিকাদারকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। স্থানীয়রা জানান, ৬৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ধ্বংসের পাশাপাশি ইমামের কক্ষও ভেঙ্গে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মসজিদের আদা বিঘা জমিও তাদের প্রজেক্টে নিয়ে গেছে। মসজিদের মিনারটিও গভীর খালে পড়ে আছে। মাইক খুজে পাচ্ছেন না মুসল্লিরা। শুধু তাই নয়, প্রায় সাত মাস পূর্বে জিয়াউর রহমানের পারিবারিক গোরস্থানের চার শতক ভূমি প্রজেক্টের আওতায় নিয়ে গেছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আরো জানান, প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান এন্ড ব্রাদার্স। তাছাড়া কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে। সিডিউল মোতাবেক কাজ করছে না তারা। নিম্নমানের বালু, রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিটন খীসা বলেন, মসজিদ ভেঙ্গে পড়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। মসজিদের যাবতীয় ক্ষতিপূরণ আদায় না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !