মাদ্রাসার দাখিলের ফলাফলে দারুণ ভাটা
আল হাছিব তাপাদার
জকিগঞ্জে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ বাড়লেও কমেছে পাশের হার। গত বছর পুরো উপজেলায় ২১জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করলেও এবার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে গত বছরে পাশের হার ছিল ৮৯.৪৮% আর এবার পাশের হার ৮৫.১১%। এদিক বিবেচনায় জিপিএ-৫ বাড়লেও কমেছে পাশের হার। এবারের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮জন, জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ জন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ জন, বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, গনিপুর কামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২জন এবং জিএমসি একাডেমী, সোনাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ৬৭ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়ে শতভাগ পাশ করেছে মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়। সবচেয়ে কম ৬৭.৩১ % পাশ করেছে শাহবাগ স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠান বিত্তিক ফলাফল হলো শেরুলবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫০ জনে পাশ করেছে ৪৫ জন, পাশের হার ৯০%। কাজী আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮ জনে পাশ করেছে ২৬ জন, পাশের হার ৯২.৮৬%। গুরুসদয় স্কুল এন্ড কলেজে ৮১ জনে পাশ করেছে ৭১ জন, পাশের হার ৮৭.৬৫%। জকিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে ৫৩ জনে পাশ করেছে ৪১ জন, পাশের হার ৭৭.৩৫%। জকিগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬১ জনে পাশ করেছে ৬০ জন, পাশের হার ৯৮.৩৬%। জকিগঞ্জ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০ জনে পাশ করেছে ৫৮ জন, পাশের হার ৯৬.৬৭%। সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতনে ৬৫ জনে পাশ করেছে ৫৩ জন, পাশের হার ৮১.৫৪%। জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭২ জনে পাশ করেছে ১৩৭ জন, পাশের হার ৭৯.৬৫%। জি.এম.সি. স্কুল এন্ড কলেজে ১১৩ জনে পাশ করেছে ৮৪ জন, পাশের হার ৭৪.৩৩%। ইমদাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতনে ৫৮ জনে পাশ করেছে ৪০ জন, পাশের হার ৬৮.৯৭%। আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি বিদ্যানিকেতনে ৪৪ জনে পাশ করেছে ৩৪ জন, পাশের হার ৭৭.২৭%। গণিপুর কামালগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ ১২৫ জনে পাশ করেছে ১১৩ জন, পশের হার ৯০.৪০%। সোনাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮ জনে পাশ করেছে ৬২ জন , পাশের হার ৭০.৪৫%। ঈদগাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১৬ জনে পাশ করেছে ১০৩ জন, পাশের হার ৮৮.৭৯%। ওয়াজেদ আলী মজুমদার বিদ্যানিকেতনে ৫৭ জনে পাশ করেছে ৪৯ জন, পাশের হার ৮৫.৯৬%। হাফিজ মজুমদার বিদ্যানিকেতনে ১০২ জনে পাশ করেছে ৭২ জন, পাশের হার ৭০.৫৯%। ইছামতি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০১ জনে পাশ করেছে ৮৮জন, পাশের হার ৮৭.১৩%। লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ ৬১ জনে পাশ করেছে ৫৩ জন, পাশের হার ৮৬.৮৯%। মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৭ জনে পাশ করেছে ৬৭ জন, পাশের হার ১০০%। শাহবাগ স্কুল এন্ড কলেজে ৫২ জনে পাশ করেছে ৩৫ জন, পাশের হার ৬৭.৩১%। বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫২ জনে পাশ করেছে ১৪৫ জন, পাশের হার ৯৫.৩৯%।
এদিকে জকিগঞ্জ উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এবার জিপিএ-৫ ও পাশের হারের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে। গত বছর ৯ জন জিপিএ-৫ পেলেও এবার একজনও জিপিএ-৫ পায়নি। গত বছর পাশের হার ছিল ৯১.৬৬%। কিন্তু এবারে পাশের হার ৭২% এ নেমেছে। প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ফলাফল হলো- ইছামতি কামিল মাদ্রাসায় ৬৩ জনে পাশ করেছে ৩৭ জন, গঙ্গাজল সিনিয়র মাদ্রাসায় ৫৭ জনে পাশ করেছে ৪০ জন, ফুলতলী কামিল মাদ্রসায় ৭৭ জনে পাশ করেছে ৬৯ জন, আটগ্রাম আমজাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৪৭ জনে পাশ করেছে ৩২ জন, সোনাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ২৭ জনে পাশ করেছে ২৫ জন, থানা বাজার লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৪৪ জনে পাশ করেছে ২৭ জন, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসায় ৬৩ জনে পাশ করেছে ৫৩ জন, বরকতপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১৬ জনে পাশ করেছে ১০ জন, কসকনকপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৪৮ জনে পাশ করেছে ৩৭ জন, গোটারগ্রাম দাখিল মাদ্রাসায় ২৯ জনে পাশ করেছে ২২ জন, নবীগঞ্জ কদুর বাজার দাখিল মাদ্রাসায় ৪২ জনে পাশ করেছে ২৫ জন, হাজী তৈয়ব আলী বালিকা দাখিল মাদ্রসায় ২৯ জনে পাশ করেছে ১৮ জন, বারহাল গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০ জনে পাশ করেছে ১৪ জন, মুন্সিপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ৩৮ জনে পাশ করেছে ২৮ জন, তোফাজ্জল আলী দাখিল মাদ্রাসায় ১৭ জনে পাশ করেছে ১২ জন, বেউর দাখিল মাদ্রসায় ২৪ জনে পাশ করেছে ১২ জন, উত্তরকুল মোশাইদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২৭ জনে পাশ করেছে ২০ জন, পিরনগর দাখিল মাদ্রাসায় ১৫ জনে পাশ করেছে ১২ জন, চাপঘাট সুন্নি দাখিল মাদ্রাসায় ২৮ জনে পাশ করেছে ২০ জন, আমলশীদ রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১১ জনে পাশ করেছে ১১ জন ও পূর্ব ইছামতি দাখিল মাদ্রাসায় ১৪ জনে পাশ করেছে ৫ জন। মাদ্রাসার মধ্যে উপজেলায় সবচেয়ে ভাল ফলাফল করেছে আমলশীদ রশিদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা। ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। আর সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে পূর্ব ইছামতি দাখিল মাদ্রাসা। ১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে মাত্র ৫ জন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !