মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
হাসিনা মাই,
ছিঠির ফয়লা গাউ-গেরামর হাজার হাজার হতভাগা, আউয়া-জাউয়া জনগণর ফক্ষ থাকি আমি বেহায়া বেইজ্জত, জনম দুঃখী, কপাল ফুড়া, আদুম ছুদুম, জকিগঞ্জী চাচার সালাম নিবায়। আশা করি দেশর মানুষ শান্তিতে তাখতা করি আফনে চাইন।
কিন্তু গো মা,
জকিগঞ্জর আপামর মানুষ অশান্তিতে আছে। একদিকে আইন শৃংখলার অবনতি। অন্যদিকে বর্তমান সেটেলমেন্ট অফিসর সীমাহীন ঘুষ-দুর্নীতি। যার ফলে মানুষ ঠিক মতো নাইতে খাইতে ফারের না। শুধু হায়রে কিতা খরতাম? খইয়া খইয়া দিন কাটার।
মাই গো,
হুনলে আফনে অবাক অইবা। জকিগঞ্জর মানুষ এখন সেটেলমেন্ট অফিসের পদে পদে লাঞ্চিত আর বঞ্চিত অর। নিজর কিনা জায়গা অথবা বাপ-দাদার নামে রেকর্ডকৃত জায়গা নিজ নামে তুলতে এখন লাখ টাকা গুনতে হয়। অনেকে টাকা দিয়াও নিজর নামে তুলতে পারের না। যা দেখিয়া নিজর কাছে বেশ কষ্ট লাগের।
মাই গো,
হেদিন সেটেলমেন্ট অফিসও গিয়া দেখলাম মানুষর মন ভাঙ্গা আর্তনাদ। মানুষে মুখ খুলে খেউররে কুচ্চু খইতে না পারলেও চরম দুঃশ্চিন্তায় আছে। কারণ মুখ খুলিয়া কিছু খইলে মনে করের হয়তো অফিসারে রাগ করিয়া নিজর জায়গা অন্যের নামে দিলাইব। নতুবা ফিস বাড়ি যাইবো। সবকিছু মিলাইয়া এই সকল মজলুম মানুষ ভেতরে ভেতরে কাঁন্দিলেও প্রকাশ্যে কাঁন্দিতে পারছে না।
মাই গো,
গত বুধবারে সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে দেখলাম উপজেলার কামালপুর গ্রামর মানিক মিয়ারে। তানরে জিকাইলাম কিতা বা তোমার কিতা? উত্তরে তাইন খইলা বাবা কিতা খইতাম। আমার বাবার নামে রেকর্ডকৃত জায়গা আমারে দিতে অফিসারে কয় ৪০ হাজার টাকা দিতাম। বউত কথাবার্তার ফরে দেখলাম টাকা না দিলে একটা ভূমি জালিয়াতি চক্রের নামে জায়গাটা দিলাইব। এরলাগি আমি কইলাম ৩৫ হাজার টাকা দিমু এর ফরেও আমার ১২ শত জায়গাটা দেউক্কা। হায়রে বাবা কিতা খইতাম, অউ অফিসারে আমার কাছ থাকি ৩৪ হাজার টাকা নিয়াও শেষ পর্যন্ত এই জায়গাটা শাহ আলম নামক অন্য আরেক জনর নামে দিলাইলো। যা দেখিয়া নিজে কান্দিয়ার আর মানুষর দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়ার। যদিরে বাবা আমার জায়গাটা আনিয়া দিতে ফারও তবে আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়া তোমার লাগি দোয়া করমু। বাবারে দয়া করি আমার জায়গাটা ফাওয়ার ব্যবস্থা করিয়া দেও। না হয় আমার আর এক ভিটা ছাড়া কুচ্চু নাই। আমি প্রতিবন্ধি আমার বাচ্চাইনতে মানুষর কাম-কাজ করওইন।
মাই গো,
এই অইলো জকিগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসর দুর্নীতির একটা মাত্র নজির। বাস্তবে খুঁজ নিলে আফনে জানতে ফারবা সেটেলমেন্ট অফিসে কি অবস্থা অর। মানুষ কিলা জুলুমর শিকার অর।
মাই গো,
আল্লাহর ওয়াস্তে আফনারে কইয়ার এই ব্যাপারে আফনে একটু খেয়াল দেউক্কা। নাইলে এই উপজেলার গরীব মানুষ অখল ভিটা মাঠি ছাড়িয়া খোলা আকাশর নীচে বসবাস করতে অইবো।
সব শেষে গো মা,
আমি একটা কথা খইয়ার। দয়া করি সেটেলমেন্ট অফিসর কোন অফিসার দিয়া তা তদন্ত না করাইয়া অন্য এখটা সেক্টরের একজন ভালা মানুষ দিয়া তা তদন্ত করাইবায়। কারণ একই বিভাগর বড় অফিসার অখল আওয়ার ফলে সাধারণ মানুষর উফরে আরো বড় চাঁদা দাবী করা অয়। তখন স্থানীয় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা অখলে মানুষরে খইন সাংবাদিক অখলে লেখার কারনে এখন উফরর অফিসার অখলরে বড় অংকে টাকা দিতে অয়। এরলাগি আফনারাও বেশ করি দিতে অইবো।
ইতি
আফনার ফুরনা ফাগল
জকিগঞ্জী চাচা
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !