স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের প্রবাসী মোঃ আলাউদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া বেগম (২৫) এর শ্লীলতা হানির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আফিয়া বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের সমছু মিয়ার পূত্র গিয়াস উদ্দিন (২৭)কে আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০৫, তারিখ-০৮.০৫.২০১৪ ইং। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাহরাইন প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া বেগম ছোট ছোট দু’টি সন্তান নিয়ে কালিগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে নিজের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাছে টিনের একটি ঘরে বসবাস করেন। স্বামী প্রবাসে থাকায় নিজ বিল্ডিংয়ের কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হয় একই গ্রামের সমছু মিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিনকে। এই সুবাদে সে এখানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করে। গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’টি সন্তান নিয়ে দরজা বন্ধ করে আফিয়া বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় গিয়াস উদ্দিন তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। তার ডাকে আফিয়া বেগম দরজা খুলে না দেয়ায় সে টিনের ভেড়া ফাঁক করে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে আফিয়া বেগম তার ঘরে ঢুকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে সে আফিয়া বেগমকে জোরপূর্বক ধরিয়া এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাথার চুলে ও পরনের কাপড়ে ধরে জোরপূর্বক টানা হেচড়া করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। এ সময় সে ঘরে থাকা কাঠের আলমারীর গ্লাস ভেঙ্গে আফিয়া বেগমের ব্যবহৃত আড়াই তোলা ওজনের স্বর্ণের একটি গলার হার, দুই তোলা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের বালা ও আধা তোলা ওজনের এক জোড়া কানের দুলসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ব্যবহারী কাপড় ৮টি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে বাদী আফিয়া বেগম বলেন, আমি থানায় মামলা দায়ের করলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ আসামী গিয়াস উদ্দিনকে ধরতে পারেনি। শুনেছি একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে পুলিশ আসামী ধরছে না। জকিগঞ্জ থানার ওসি জামশেদ আলম বলেন, মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী খাঁন ট্রেনিংয়ে থাকায় এখন মামলাটি এসআই আবুল বাশার তদন্ত করছেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !