নেপথ্যে স্থানীয় তহশিলদার!
মোঃ এখলাছুর রহমান
গত বছরের ন্যায় এবারও দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট চক্রের কবলে জকিগঞ্জের শাহগলী বাজারের ইজারা। যদিও ১৪১৯ বাংলায় বাজারটি ২২ লক্ষ টাকার মত বন্দোবস্ত গিয়েছিলো। শাহগলী তপশিল অফিসে বর্তমান তহশিলদার ফারুক আহমদ যোগ দেয়ার পর থেকে সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। তিনির নেপথ্যে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠে রাতারাতি। বিভিন্ন কৌশলে ১৪২০ বাংলায় খাস কালেকশনের নামে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করে এ চক্র। মাত্র ১১ লক্ষ টাকার মত তহশিলদার সারা বছরের আদায় দেখান। অথচ ঈদুল আযহা মৌসুমে দ্বীগুণের চেয়ে বেশী টাকা আদায় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বহুমূখী দূর্নীতি ও জালিয়াতিতে সিদ্ধহস্ত এ তহশিলদার যোগ দেয়ার পর রহস্য জনক এখন আর আগের মত একাধিক মহল জকিগঞ্জের বৃহত্তর এ বাজারের টেন্ডারে প্রতিযোগীতা করে না। তিনি না কি সবার সাথে গোপন বৈঠক করে টেন্ডার কমিটি কে ম্যানেজ করে থাকেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন ১৪২০ বাংলায় কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকার মত খাস কালেকশন আদায় হয়েছে। অথচ সরকারী ফাউন্ডে দয়ার দানের মত সামন্য টাকা প্রতি বাজার জমা দেয়া হয়। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও তহশিলদারের নেতৃত্বে এসব লুটপাট চলছে বলে জানা যায়। চলতি ২০২১ বাংলায় রহস্য জনক আর কেউ প্রতিযোগীতা না করায় ১৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ১ শত ৭ টাকা ইজারা মূল্য দেখিয়ে একি চক্রকে আবার বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। অথচ তফশিলদারের মধ্যস্তায় ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্য ধরে ইতি মধ্যেই ভাগভাটোরা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দিন দিন দেশের সব কিছু উর্ধমূখী হলেও শাহগলী বাজারে ইজারা মূল্য নিম্নমুখী কেন? রহস্য জনক এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ফারুক আহমদ তহশিলদার হিসাবে যোগ দেয়ার পর থেকে অনিয়ম দূনীর্তিকে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। উপজেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দুরবর্তী এ অফিস ও বাজারটি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকায় ফারুক সপ্তাহে মাত্র ২দিন অফিস করেন। ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী সিলেট শহরে বসবাস করে মোবাইলে ফোনে অফিস চালান। সম্প্রতি সরকারের ভিপি সম্পত্তির গেজেটের ‘খ’ তালিকার ভূমির নামজারির কোন কোন কেইছে ইউএনও সহ জেলা প্রশাসকের নামে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা উৎকুচ আদায় করেছেন এ দাপটে তহশিলদার। সিলেট সদরের সুলতানপুর চক নামক পুরানো কর্মস্থল থেকে একি ধরণের অভিযোগে ষ্ট্যান্ডরিলিজ হয়ে বর্তমান কর্মস্থলে আসেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তহশিলদা ফারুক আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়ি করলে চাঁদাবাজীর মামলায় টুকিয়ে দিবেন ।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !