..........ইকবাল আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ বলেছেন, সৎ, সদালাপী ও কর্মট ব্যক্তি হিসেবে আলাউদ্দিন চির অম্লান হয়ে থাকবেন। একটি স্কুলেই তিন যুগের অধিক সময় অতিবাহিত করা তা বর্তমান শিক্ষক সমাজের জন্য একটি বিরণ দৃষ্ঠান্ত। তিনি বর্তমান সময়ে এমন শিক্ষককে অনুস্মরন করতে শিক্ষক সমাজের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি নৈতিক ও সু-শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। তিনি গত ১৪ মে বুধবার জকিগঞ্জের বেউর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আলাউদ্দিনের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ মেম্বারের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী খালেদ হোসেন ও আব্দুর রউফের যৌথ উপস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র ক্বোরআন তেলাওয়াত করেন মাওঃ সালেহ আহমদ ও গীতাপাঠ করে শিক্ষার্থী সুচিতা রানী নাথ। আমজাদ উদ্দিন লালনের মানপত্র পাঠ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খলাছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির আহমদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান, ঈদগাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম উদ্দিন, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত রায়। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ, সোনাপুর দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা কুতবুল আলম, শিক্ষক মাহবুবুল আলম সেলিম, মাসুক আহমদ, আফতার আলী, হিফজুর রহমান, সাবেক মেম্বার হেলাল আহমদ, রুহুল আমীন, বুরহান উদ্দিন, ছালেহ আহমদ, ফজলে আশরাফ মান্না ও তারেক মোঃ সাজু প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা অফিসার এবিএম আশেকুল আহাদ, সহকারি শিক্ষক আমান উদ্দিন, সাংবাদিক এনামুল হক মুন্না, আতাউর রহমান, জকিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফোরাম সভাপতি মোঃ ইউনুছ আলী, জসির উদ্দিন, ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ, শাহীন আহমদ লিটন, আব্দুস ছালাম ও জালাল উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিদায়ীকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, মানপত্রসহ বিভিন্ন রকমের অসংখ্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ সময় সংবর্ধিত অতিথি আলাউদ্দিন বলেন, আমার অর্জনকে স্মীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি তো এত কিছু করিনি। তবুও আমি সারা জীবন আপনাদের দেওয়া সম্মানকে মনে রাখব। আমার শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে সুনামের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বপালন করছে। আমি চির বিদায় নিলে তারা যেন শেষ বিদায় দিতে পারে।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !