স্টাফ রিপোর্টার
স্বাধীনতার পরের বছর প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয়ের ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগে গত ৪ মে জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। পৌর এলাকার কেছরী গ্রামের মৃত আসাইদ আলীর পুত্র মোসলেহ উদ্দিন সুহেল বিষয়টি থানায় ডায়েরীভুক্ত করান। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমসেদ আলম জানান-আবেদনকারী জিডিতে উল্লেখ করেছেন ৪৫ শতক জমির উপর কেছরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালের পহেলা জুলাই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে যে কোনো সময় কে বা কারা বিদ্যালয় ঘরটি রাতের অন্ধকারে জ্বালিয়ে দেয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করার প্রয়োজনীয়তার কথা আবেদনে উল্লেখ করা হয়। মোসলেহ উদ্দিন সুহেলের আবেদনের গুরুত্ব মাথায় নিয়ে বিষয়টি থানায় ডায়েরীভুক্ত করে এসআই লুৎফর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জকিগঞ্জ থানার জিডি নং ১৫২ তাং ৪.৫.২০১৪। তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন- সরেজমিন কেছরী গ্রামে ঘুরে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্তিত্বের সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি দেওয়ানী হওয়ায় এখানে পুলিশের তেমন কিছু করার নেই। আবেদনকারী মোসলেহ উদ্দিন সুহেল বলেন-কেছরী গ্রামের আশপাশের ১৫টি গ্রামে কোনো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। একটি ভূমি খেকো চক্র বিদ্যালয়ের মূল্যবান ভূমি আতœসাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয় ঘরটি জ্বালিয়ে দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তখন অন্যত্র বদলী হয়ে যান। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এলাকাবাসী বিদ্যালয়টি পুণ:প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !