স্টাফ রিপোর্টার
জকিগঞ্জের মানিকপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের রঞ্জিত দাসের বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান শৈলজুড়ি জলমহাল নিয়ে মনসুরপুর গ্রামের নজমূল ইসলামের পুত্র শ্রমিকদল নেতা ফেরদৌস আহমদ ও সিরাজপুর গ্রামের রঞ্জিত দাস গত ৬ এপ্রিল রোববার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কথা কাটাকাটি করেন। এরই জের ধরে ফেরদৌস আহমদ ও তার সহযোগিরা মিলে ঐদিন রাত সাড়ে ১০টায় পেট্রল দিয়ে দিনমজুর রঞ্জিত দাসের বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন। সংখ্যালঘুর বসত ঘরটি আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী তৈরি করে দিয়েছিলেন। সে ঘরটি রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে। পুলিশ রাত দুইটায় স্থানীয় হাওর থেকে ঘটনায় জড়িত ফেরদৌসকে আটক করে। ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় দু’জনকে আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৭। মাদক সেবনের দায়ে আরেকটি মামলা মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা হয়েছে। নবাগত ওসি জমশেদ আলম জানান, ফেরদৌস ও জবুকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেরদৌসকে আটক করা হয়েছে। তার সহযোগী জবুকেও আটক করা হবে। অবশ্য ফেরদৌসের পরিবার অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র। আটকের পর পুলিশের বেদম প্রহারে ফেরদৌস গুরুতর আহত হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এদিকে সন্ত্রাসী কর্তৃক জকিগঞ্জের সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর পুড়ানোর ঘটনাটির সরেজমিন পরিদর্শন করেন সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি অব পুলিশ শাখাওয়াত হোসেন। জকিগঞ্জের সিরাজপুর গ্রামের রণজিত রাম দাসের বিধ্বস্থ পুড়া বাড়ীতে অফিসার ইনচার্জ মোঃ জামশেদ আলমসহ একদল পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলে বিভিন্ন গ্রামের শতশত লোকজন সমবেত হয়ে রবিবার রাতে সন্ত্রাসী কর্তৃক রণজিতের বসত বাড়ী পুড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেন। ডিআইজি উপস্থিত লোকজনের কথা শুনে মামলার আই.ও-কে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কঠোর নির্দেশ দেন। রণজিতের বাড়ীটি পুড়ানোর ঘটনায় সিলেটের প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে বহুল আলোচিত হয়ে উঠে। তাই সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি ছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জকিগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’টি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে দুস্কৃতিকারীদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাচিবিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক ময়নুল হোসেন, ফারুক আহমদ, আব্দুর করিম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসাও সরেজমিন তদন্ত করে সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন।
0 মন্তব্য:
Speak up your mind
Tell us what you're thinking... !